
ভারত-চীন সীমান্ত সংঘর্ষের মধ্যে, ভারত-বাংলাদেশের প্রান্তে বসবাসকারী মেঘালয়ের আদিবাসী গ্রামবাসীরা ভারত সরকারকে তাদের চারটি গ্রাম এবং এর জনসংখ্যা বাংলাদেশকে দিতে জোর দাবি জানিয়েছে ।
ভারতের সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী তাদের হিঙ্গারিয়া, হুরোই, লাহালিন এবং লেজরি গ্রামের আদিবাসীরা বহু বছর ধরে রিমাবাই-বাতাও-বড়খাট-সোনাপুর সড়ক নির্মাণের জন্য নয়াদিল্লি এবং শিলং উভয়ের ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য আবেদন করে আসছে কিন্তু তাদের আবেদন এখনও কারো দৃষ্টিগোচর হয়নি। ফলে ক্ষুব্ধ হয়েই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে তারা।
এই চার গ্রামের বাসিন্দাদের মত এমন দাবি ইতিপূর্বে অন্য কোনো অঞ্চল করেনি। ফলে নতুন আলোচনায় এখন এই দাবি। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে তারা যে সরকারের পক্ষ থেকে সুবিধাবঞ্চিত রয়েছে সেটাও নতুন করে সামনে এসেছে।
চার গ্রামের মুখপাত্র কিনজাইমন আমসে জানান কেন্দ্রীয় সরকার যদি তাদের দাবিগুলো মেনে নিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি না করে তাহলে তারা কঠি সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবেন। তার ভাষ্য, এটা একেবারেই স্পষ্ট যে সীমান্ত এলাকায় বসবাসরতদের জীবন সরকারের কাছে কোনো কিছুই না এবং আমরা শুধু ভোটের জন্য ব্যবহার হই। যদি সরকার সত্যিকারার্থেই আমাদের ভারতীয় মনে করে এবং আমাদের সমস্যাগুলো গুরুত্ব দিতে চায়, তবে তাদের উচিত শিগগিরই আমাদের সড়ক সমস্যার সমাধান করা এবং এই সমস্যাগুলো সহজ করতে অন্তর্বর্তী পদক্ষেপ নেয়া। এতে কোনো ফল না হলে কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া ছাড়া লোকজনের হাতে কোনো উপায় থাকবে না।‘’
গ্রামের মানুষের দুর্দশার কথা জানিয়ে আমসে আরও বলেন, আমাদের গ্রামগুলোর দরবার ও পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, যদি সরকার আমাদের দিকে না তাকায়, আমাদের জন্য রাস্তা বানাতে আগ্রহী না হয়, তবে তারা যেন এই চার গ্রাম ও পাঁচ হাজারের বেশি মানুষকে বাংলাদেশকে দিয়ে দেয়। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার যেহেতু আমাদের সমস্যা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে তাই গ্রামের বাসিন্দারা তাদের জন্য রাস্তা নির্মাণে বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।‘’