
ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের কারণে জেরুজালেমের আকাশে উদ্বেগ বেড়েছে। সম্প্রতি ইসরায়েলের বিমানবন্দর এবং ডিমোনা এলাকার পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। যদিও বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্রকে আকাশে ধ্বংস করা হয়েছে, তবুও এই হামলাকে সংঘাতের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ইসরায়েলি বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের (সেন্টকম) সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে ইরানের হামলা ব্যর্থ হয়েছে। তবে এ ঘটনায় অল্প সংখ্যক আহত ছাড়া বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই।
ইরান এবার দ্বিতীয়বারের মতো ইসরায়েলে সরাসরি হামলা চালিয়েছে। তারা দাবি করেছে, ইসরায়েলের বিমান ঘাঁটি ও রাডার সিস্টেমকে অকার্যকর করতে চায়।
ইসরায়েলি যুদ্ধ সাংবাদিক রন বেন-ইশাই জানিয়েছেন, ইরান বর্তমানে গাজা, লেবানন ও পশ্চিম তীরের ওপর নজর দিতে শুরু করেছে। তাদের হামলা ইসরায়েলজুড়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এবং এ কারণে ইসরায়েলকে তাদের প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধি করতে হবে।
এদিকে, ইরানের নেতৃবৃন্দও ইসরায়েলের পাল্টা হামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গত কয়েক সপ্তাহে ইসরায়েলের হামলায় ইরানের আঞ্চলিক শক্তি অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে।
রোববার, ইসরায়েল ইয়েমেনের হুতিদের নিয়ন্ত্রণাধীন হোদেইদাহ বন্দরে হামলা চালিয়েছে, যা ইরানের সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক হামলার ইঙ্গিত দেয়। যদি ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়, তবে তা ব্যাপক যুদ্ধের সূচনা করতে পারে।
ইরানের অর্থনীতি তেল ও গ্যাস রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল। সুতরাং, এসব স্থাপনায় হামলা হলে ইরান হরমুজ প্রণালীর মতো গুরুত্বপূর্ণ জলপথ বন্ধ করার চেষ্টা করতে পারে, যা বিশ্ব অর্থনীতিতে গুরুতর প্রভাব ফেলবে।
মধ্যপ্রাচ্যে বিস্তৃত আঞ্চলিক যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ রয়েছে। ইসরায়েলকে সম্ভাব্য হামলার আওতা বিবেচনা করতে হবে এবং বিশেষজ্ঞদের মতে, লেবাননসহ অন্যান্য যুদ্ধক্ষেত্রে মনোযোগ দেওয়ার জন্য পরিস্থিতি সমাধানের মধ্যেই তাদের বৃহত্তম স্বার্থ নিহিত।