
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “বাংলাদেশকে একটা রাজনীতি বিবর্তিত দেশে পরিণত করতে চায় আওয়ামী লীগ। রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করে বাকশালের মতো এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করাই তাদের মূল লক্ষ্য।”
মঙ্গলবার বিকালে গুলশানে বিএনপি’র চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তিনি জানান, চলমান সহিংসতার সাথে বিএনপি জড়িত না।
“তিনি (ওবায়দুল কাদের) বলছেন যে ওনাদের কাছে আছে যে কোত্থেকে নির্দেশ এসেছে, উস্কানি এসেছে, কারা কোথায় বৈঠক করেছেন, অর্থ যুগিয়েছেন, কোন কৌশলে অর্থ পাঠিয়েছেন, সবই আমরা জানি। সকল ষড়যন্ত্র এখন জাতির কাছে দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। সবই যদি স্পষ্ট হয়ে থাকে, তাহলে তো আপনারা জানতেন যে এই আন্দোলন কিভাবে কোনদিকে যাচ্ছে। তাহলে প্রথমেই আলোচনার মাধ্যমে শেষ করলেন না?”
ওই প্রশ্ন তোলার পর তিনি আরও বলেন, “এই আন্দোলন শুরুর পর আপনারা যে ভাষায় আন্দোলনকারীদেরকে তিরষ্কার করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, প্রথম থেকেই তাদেরকে বলেছেন তৃতীয় শক্তির আবির্ভাব হয়েছে, জামাত-শিবিরের উস্কানিতে এসব আন্দোলন করছে, সব শেষে এটাও বলেছেন যে বাইরের শক্তির ইঙ্গিতে এসব করছে।”
“যখন ছাত্ররা বারবার বলেছে যে আমরা কথা বলতে চাই, তখন আপনারা প্রথমে ছাত্রলীগকে ওদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছেন, তারপর পুলিশ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে ঘরের মধ্যে ঢুকে তাণ্ডব সৃষ্টি করেছেন। তারপরই তো ছাত্ররা রাস্তায় নেমেছে।”
তিনি জানান, বিএনপি আন্দোলনের শুরুতে কোনও কর্মসূচি দেয়নি। যখন শিক্ষার্থীরা “শহীদ” হয়, তখন তারা গায়েবানা জানাজা দিয়েছিলেন।
“কিন্তু সেখানে আপনারা আমাদেরকে দাঁড়াতে দেননি। তারপর একটা সমাবেশ ডেকেছিলাম। সেটিও আপনারা করতে দেননি। গুলি করে, টিয়ারগ্যাস ছুঁড়ে, সাউন্ড গ্রেনেড দিয়ে, সাতটি হেলিকপ্টার দিয়ে সমাবেশকে পণ্ড করেছেন। তারপর গণগ্রেফতার শুরু করেছেন।”
এসময় তিনি আরও বলেন যে বর্তমানে প্রতিদিন তৃণমূল পর্যায়ের বিএনপি নেতাকর্মীকে “তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।” “আপনারা প্রতিদিন ব্লকরেইড দিচ্ছেন। ঢাকা শহরে গ্রেফতার নয় হাজার ছাড়িয়েছে। এর উদ্দেশ্য কি?” প্রশ্ন রাখেন তিনি।