
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য ডিসেম্বরের মাঝামাঝি বিদেশ যাত্রা করতে পারেন। যাওয়ার পথে পবিত্র ওমরাহ পালন করার কথা রয়েছে তাঁর। এর পর তিনি প্রথমে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
গতকাল বুধবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে গিয়ে বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়েছেন খালেদা জিয়া। এ সময় তাঁকে স্বাগত জানান দূতাবাসের কর্মকর্তারা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার এবং ব্যক্তিগত চিকিৎসক মোহাম্মদ মামুন।
চেয়ারপারসনের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে দু-তিনটি দেশে নেওয়া হতে পারে। চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার প্রস্তুতিও চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ১২ অথবা ১৩ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া যাত্রা শুরু করবেন। সফরে তাঁর সঙ্গে চিকিৎসকসহ ১৭ জন সফরসঙ্গী থাকবেন।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা জানান, তিনি বর্তমানে বিমানে ভ্রমণের উপযুক্ত শারীরিক অবস্থায় রয়েছেন। তবে ঝুঁকি এড়াতে ছয়জন চিকিৎসক তাঁর সঙ্গে থাকবেন। যুক্তরাজ্যের ভিসা ইতোমধ্যে পাওয়া গেলেও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার প্রক্রিয়া এখনও সম্পন্ন হয়নি।
এদিকে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আগামী শনিবার লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। তিনি ১১ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন। এরপরই খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রার চূড়ান্ত পরিকল্পনা হবে।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি এবং ডায়াবেটিসসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে বিভিন্ন সময়ে আইসিইউতে রেখে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সবশেষ ২০১৬ সালে তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হজ পালন করেছিলেন। এবার সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে তিনি ওমরাহ পালন করবেন বলে জানা গেছে।