
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে সম্প্রতি সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে কলকাতা থেকে ঢাকায় আনা হয় এবং তার বসবাসের জন্য ধানমন্ডির একটি বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরে ১৯৭৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি কবিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয় এবং একই বছর তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন।
কবির মৃত্যুর পর তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয় এবং ২০১৮ সালে "কবি নজরুল ইনস্টিটিউট আইন" এর মাধ্যমে তাকে জাতীয় কবি হিসেবে আরও সুসংহতভাবে উল্লেখ করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ১৯২৯ সালে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ও বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের মতো ব্যক্তিত্বরা কবি কাজী নজরুল ইসলামকে “জাতীয় কান্ডারি” ও “জাতীয় কবি” হিসেবে অভিহিত করেছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে কবির জন্মবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বারবার তাকে জাতীয় কবি হিসেবে উল্লেখ করলেও, সরকারিভাবে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি।
অবশেষে, ৫ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, ১৯৭২ সালের ৪ মে থেকে কবিকে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় কবি ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা হবে।
সরকারি গেজেটে প্রকাশিত এই প্রজ্ঞাপন অনুসারে, কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এটি দেশের জনগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করেছে।