
কুবি প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত মুরাদনগর উপজেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠন "মুরাদনগর ছাত্রকল্যাণ পরিষদ" কর্তৃক ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকেল ৪টায় কুমিল্লা শহরের রেডরুফ কমিউনিটি সেন্টারের হলরুমে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সভাপতি সাইদুল হাসানের সভাপতিত্বে এবং টিপু সুলতানের সঞ্চালনায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ও কুমিল্লা সরকারি কলেজের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
দোয়া পরিচালনা করেন নবীয়াবাদ কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা বদিউল আলম।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন মুরাদনগর-৪ আসনের পাঁচবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাসির উদ্দিন, "এখন" টেলিভিশনের কুমিল্লা ব্যুরো প্রধান খালিদ সাইফুল্লাহ, আবুল খায়ের গ্রুপের সিনিয়র অফিসার (এইচআর) আজিজুর রহমান বেলাল, নবীয়াবাদ কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা বদিউল আলম, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ রাজু, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান, এডভোকেট তৌহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।
বিশেষ অতিথি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাসির উদ্দিন বলেন, গত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারতাম না। কিন্তু আমরা এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে চাই, যেখানে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ একসঙ্গে কাজ করে দেশ, সমাজ ও জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে পারবে। পড়াশোনা শেষ করে ব্যবসা, চাকরি ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা সবাই একে অপরকে সহযোগিতা করব। মুরাদনগরের রাস্তাঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে কাজ করে যাব এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একসঙ্গে এগিয়ে যাব।
"এখন" টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, ছোট ছোট চারাগুলো যখন বড় হবে, তখন সবার জন্য ছায়া দেবে। বর্তমানে মুরাদনগরের সাবেক শিক্ষার্থীরাও এমন ভূমিকা রাখছেন। মুরাদনগর অন্যান্য উপজেলার তুলনায় পিছিয়ে আছে, যা কখনোই কাম্য নয়। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে গড়ে ওঠা শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব হচ্ছে মুরাদনগরকে একটি শিক্ষিত জনপদ হিসেবে গড়ে তোলা। আমরা যে যেখানেই থাকি, সবাইকে শিক্ষার প্রসারে সহযোগিতা করতে হবে।
অনুষ্ঠান শেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে মুরাদনগরের উন্নয়ন ও দেশের কল্যাণ কামনা করা হয়।