Date: May 01, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / রাজশাহী / ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারী প্রণোদনার আওতায় সহায়তা কামনা কৃষকদের - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারী প্রণোদনার আওতায় সহায়তা কামনা কৃষকদের

October 21, 2023 06:01:25 PM   উপজেলা প্রতিনিধি
ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারী প্রণোদনার আওতায় সহায়তা কামনা কৃষকদের

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
নওগাঁর আত্রাইয়ে নদীর পানি অনেকটায় কমলেও কমেনি মাঠের পানি। ফলে গত ২০দিন ধরে বন্যার পানিতে প্রায় সাড়ে ১১হাজার বিঘা জমির ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়ে থাকায় অনেকাংশে ধানের আসা ছেরে দিয়েছেন কৃষকরা। এছাড়া প্রায় সাড়ে তিনশত বিঘা জমির চাষকৃত সবজি ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে। ভেসে গেছে ৫২টি পুকুরের প্রায় ৮০লক্ষ টাকার মাছ।এতে চরম ক্ষতির মূখে পরেছেন উপজেলার কৃষকরা। ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারী প্রণোদনার আওতায় সহায়তা কামনা করেছেন কৃষকরা।

জানা গেছে, গত মাসের শেষের দিকে ভারীবৃষ্টিপাত এবং উত্তরের উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে আত্রাই নদীর পানি অনাকাংখিতভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। একপর্যায়ে নদীতে পানির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর আত্রাই নদীর আত্রাই উপজেলার আত্রাই-বান্দাইখাড়া সড়কের নন্দনালী বেড়িবাঁধ কাম পাকা সড়ক, আত্রাই-সিংড়া সড়কের বেড়িবাঁধ কাম পাকা সড়কের জগদাস এবং তার সামান্য অদুরে শিকারপুর নামকস্থানে ভেঙ্গে যায়। এছাড়া পরের দিন সকালে একই নদীর কাশিয়াবাড়ী বলরম চক-ইসলামগাথী বেড়িবাঁধ কাম পাকা সড়ক ভেঙ্গে যায়। এতে লোকালয়ে হু-হু করে পানি ঢুকতে থাকে।

আত্রাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দেয়া তথ্যমতে, ওই সময় প্রায় ১২ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পরে এবং বাঁধ ভেঙ্গে প্রায় ১০-১২টি বাড়ি বিলিন হয়ে যায়। উপজেলা ম’স্য কর্মকর্তা পলাশ চন্দ্র দেবনাথ জানান,বন্যায় উপজেরার ৫২টি পুকুরের প্রায় ৮০লক্ষ টাকার মাছ ভেসে গেছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অভিজিত চন্দ্র কুন্ডুর দেয়া তথ্যমতে, ওই বন্যায় উপজেলার প্রায় ১১হাজার ৪৭৫বিঘা জমির ধান এবং ৩৩৭ বিঘা জমির বিভিন্ন রকমের সবজি পানিতে ডুবে গেছে।বন্যার পানি মাঠে এখনো স্থির থাকায় উপজেলার মনিয়ারী, কচুয়া, বাহাদুরপুর, বাঁশবাড়িয়া, ফটকিয়া, পালশা, নৈদীঘি, পতিসর, মাঝগ্রাম, বড়সাওয়তা, পৈসাওতা, দমদত্তবাড়িয়াসহ অনেক এলাকার মাঠের ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে।

তিনি বলছেন, যদি পানি দ্রুত নেমে যেতো তাহলে হয়তো ধান ভাল থাকার কিছুটা আসা করা যেতো। কিন্তু দীর্ঘ জলাবদ্ধতায় পানিতে নিমজ্জিত থাকায় ধানের আসা অনেকটায় ছেরে দিতে হচ্ছে। তবে ক্ষতির পরিমান এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।

পালশা গ্রামের কৃষক ময়নুল ইসলাম বলেন, তিনি চলতি মৌসুমে প্রায় ৩০বিঘা জমিতে ধান রোপণ করেছিলেন। বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে ধানের গাছ পঁচে গেছে।

মনিয়ারী গ্রামের সাইফুল ইসলাম টুটুল বলেন, তিনি সাড়ে ১০বিঘা জমিতে ধান রোপন করেছিলেন সব ধান বন্যার পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে।

কচুয়া গ্রামের পল্লীচিকিৎসক ও কৃষক শামিম মাহমুদ বলেন, এবার ১৫বিঘা জমিতে ধান রোপণ করেছিলেন। কিন্তু বন্যার পানিতে সব ধান ডুবে শেষ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, বন্যায় এলাকার হাজার হাজার কৃষকরে জমির ধান এখনো নিমজ্জিত হয়ে আছে। যদি পানি দ্রুত নেমে যেতো তাহলে ধান পাবার আসা থাকতো। কিন্তু দীর্ঘ জলাবদ্ধতার কারনে সব ধান পানির নিচে পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে চরম ক্ষতিতেপরেছেন কৃষকরা। কৃষকদের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠতে সরকারী প্রণোদনার আওতায় সার্বিক সহায়তা কামনা করেছেন তিনি।

আত্রাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাপস কুমার রয় বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদেরকে সহায়তার জন্য সংশ্লিষ্ঠ উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করা।