
গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুরের জয়দেবপুরে এক ফ্ল্যাট বাসায় অনধিকার প্রবেশ করে এক ব্যক্তিকে জিম্মি করে টাকা-পয়সা, মোবাইল সেট, পাসপোর্ট, মোটর সাইকেল, কাগজপত্রসহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাতে দক্ষিণ ছায়াবিথী (ফনির টেক) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জয়দেবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে জিএমপি সদর থানার এসআই মিজান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বীর উজুলী গ্রামের মো. আব্দুল হেকীমের ছেলে মো. শাহজাহান সাজু (৫২) দীর্ঘ দিন ধরে জমি-জমা ও ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে উজুলী গ্রাম এলাকার কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে ঝামেলায় জড়িত ছিলেন। সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে মো. লুৎফর রহমানের ছেলে মোঃ তারেক (৩৫), মোঃ রফিক মিয়ার ছেলে খাইরুল ইসলাম আপন (২৩), মৃত করিম মাস্টারের ছেলে মোঃ মোতাহার (৫৫) ও মৃত আঃ রহমানের ছেলে মোঃ নজরুল (৫২) সহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন ব্যক্তি জয়দেবপুরের দক্ষিণ ছায়াবিথী এলাকায় শাহজাহান সাজুর ভাড়া করা ফ্ল্যাট বাসায় জোরপূর্বক প্রবেশ করে তাকে জিম্মি করে এলোপাথারি মারপিট করে নীলা-ফুলা জখম করে।
অভিযোগে বলা হয়, আক্রমণকারীদের মধ্যে তারেক সাজুর প্যান্টের পকেট থেকে সাত হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল ফোন, খাইরুল ইসলাম আপন সাজু ও তার মেয়ের দুটি পাসপোর্টসহ ৩৪ হাজার টাকা, মোটর সাইকেলের চাবি, কাগজপত্র, জমির বিভিন্ন দলিল পত্রাদি, ব্যাংকের চেক বই এবং ২ ভড়ি ৮ আনা ওজনের রূপার ভেসলেট ছিনিয়ে নেয়। অপরদিকে, নজরুল সাজুর পকেট থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়, যা সাজুর স্ত্রী বিকাশের মাধ্যমে পাঠিয়েছিলেন।
অভিযোগের মধ্যে আরও বলা হয়, ফ্ল্যাট বাসায় হামলাকারীরা ফিরে যাওয়ার সময় সাজুকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে এবং হুমকি দেয় যে, এই ঘটনায় আইনের আশ্রয় নিলে কিংবা কাউকে জানালে সাজু ও তার পরিবারকে খুন বা জখম করবে। তারা আরও হুমকি দেয় তারা সাজুর বাসার আসবাবপত্র ভাঙচুর করে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেবে।
এদিকে সাজু অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা যখন চলে যায়, তখন তারা তার ভাড়া করা ফ্ল্যাট ভবনের নিচতলায় গ্যারেজে রাখা ১টি ভারসন-টু ইয়ামাহা মোটর সাইকেল, যাহার মূল্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, নিয়ে চলে যায়। সাজু বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের জান-মালকে বড় ধরনের ক্ষতির হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্তের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। জিএমপি সদর থানার এসআই মিজান জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।