Date: May 17, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / ঢাকা / ঘোড়াশালের প্রধান সড়কের বেহাল দশা, জনজীবনে চরম দুর্ভোগ - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

ঘোড়াশালের প্রধান সড়কের বেহাল দশা, জনজীবনে চরম দুর্ভোগ

May 16, 2025 07:51:00 PM   অনলাইন ডেস্ক
ঘোড়াশালের প্রধান সড়কের বেহাল দশা, জনজীবনে চরম দুর্ভোগ

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার প্রধান সড়ক ঘোড়াশাল বাইপাস-ঘোড়া চত্বর সড়কটি স্থায়ী সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কে বড় বড় অসংখ্য গর্ত থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও যান চালকদের। মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে এই সড়কে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে সার কারখানা, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, প্রাণ-আরএফএল, স্যামরি ডায়িং, জুট মিলসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের গাড়ি চলাচল করে। এছাড়া বিভিন্ন হাসপাতাল, স্কুল-কলেজের যানবাহনও এ পথ ব্যবহার করে। কিন্তু বড় বড় গর্তের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যানবাহন, ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন চালক ও মালিকরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঘোড়াশাল বাইপাস-ঘোড়াচত্বর এলাকার প্রায় এক কিলোমিটার সড়কে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে যায়। সড়কের উপরের পিচ উঠে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে ১ থেকে ৩ ইঞ্চি কাদা জমেছে, যা যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।

অটোরিকশা চালক শাহাজাল মিয়া জানান, এক কিলোমিটার পথ যেতে যেখানে ৪০ সেকেন্ড লাগার কথা, সেখানে বড় বড় গর্তের কারণে চার মিনিট সময় লাগে। অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটে। একইভাবে চালক মজিবুর রহমান বলেন, সড়কটি এখন খালের মতো হয়ে গেছে। বড় গর্ত আর পানির কারণে এ পথে রিকশা চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে, যাত্রীরাও আসতে চায় না। ফলে আয় রোজগার কমে গেছে।

সড়কের পাশের ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ মারুফ জানান, তার দোকানের সামনে বড় বড় গর্তের কারণে বৃষ্টির সময় পানি জমে, আর শুকনো দিনে প্রচুর ধুলাবালি উড়ে। ফলে ক্রেতারা দোকানে আসতে চায় না, ব্যবসা টিকিয়ে রাখাই এখন কঠিন হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় বৃদ্ধ আলাউদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আগে জনপ্রতিনিধিরা উন্নয়নের কথা বললেও বাস্তবে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের দিকে নজর দেয়নি। তিন বছর ধরে রাস্তাটির এই করুণ দশা। এখন তো তারা পালিয়েছে। সংস্কার না হলে আর কবে হবে?’

এদিকে শিক্ষার্থী শাওন, রাফসান ও তাদের অভিভাবকরা জানান, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজে যেতে তাদের কষ্ট হয়। গর্তে জমে থাকা কাদাপানি পোশাকে ছিটকে পড়ে নষ্ট হয়, এমনকি হেঁটেও চলা যায় না।

পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ঘোড়াশাল পৌরসভার প্রশাসক মো. আবু বকর সিদ্দিকী জানান, সড়কটি সংস্কারের জন্য নরসিংদী প্রশাসনের সমন্বয় সভায় আলোচনা করা হবে।

নরসিংদী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রেজা-ই রাব্বি জানান, সড়কটি পরিদর্শন করা হয়েছে এবং খুব শিগগিরই ঠিকাদারের মাধ্যমে সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।