
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যার পর হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার টোরাগড় গ্রাম ও মকিমাবাদ সর্দার বাড়ির লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ শুরু হয় বলে জানিয়েছেন হাজীগঞ্জ থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন।
প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন লাগানো হয় ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
ওসি মো. মহিউদ্দিন জানান, সংঘর্ষে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি, তবে ২০ থেকে ৫০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সংঘর্ষের পেছনে মূল কারণ হিসেবে চাঁদাবাজি ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের কথা উঠে এসেছে।
সংঘর্ষ শুরু হয় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়, যা গভীর রাত পর্যন্ত চলে। শুক্রবার সন্ধ্যায় টোরাগড় পক্ষ হাজীগঞ্জ বাজারে হামলা চালালে মকিমাবাদ সর্দার বাড়ির পক্ষ প্রতিরোধ গড়ে তোলে, এতে ব্যাপক সংঘর্ষ বাঁধে। পরিস্থিতির অবনতি হলে সেনাবাহিনীকে খবর দেয় পুলিশ। রাত ১০টার পর সেনাবাহিনী ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষে আহত ২০-২৫ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। গুরুতর আহতদের মধ্যে শাহাদাত, সায়মন ও আহসানকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন ও নবাগত পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ সুপার রকিব জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবে হতাহতের তথ্য যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী সময়ে নিশ্চিত করা হবে।