
চলতি বছরটা দুর্দান্ত কাটছে ভারতের নতুন সেনসেশন সূর্যকুমার যাদবের। ২২ ম্যাচে ১৮৫ স্ট্রাইক রেট নিয়ে ৭৯৪ রান রান সংগ্রাহক তিনি। সূর্যকুমার যাদবের চেয়ে টি-টোয়েন্টিতে আর কেউ বেশি রান করতে পারেনি এবছরে। এবছরে সর্বাধিক রান সংগ্রাহক তো বটেই সঙ্গে ২০২২ সালে সর্বাধিক ৫০টি ছক্কাও হাঁকিয়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে এক বছরে সর্বোচ্চ ছক্কা মারার রেকর্ডে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে (৪২) পেছনে ফেলেছেন আগেই। শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫ ছক্কা মেরে ছক্কার ফিফটি মেরেছেন তিনি। কথাটা অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্য। এ বছর আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলের ২৩ খেলোয়াড় মিলে মেরেছেন ৪৭টি ছক্কা। পুরো বাংলাদেশ দল মিলেও সূর্যের সমান ছক্কা হাঁকাতে পারেনি। বাংলাদেশ খেলেছে ১২ ম্যাচ, সূর্যকুমার খেলেছেন ২২ ম্যাচ।
বাংলাদেশের হয়ে চলতি বছর ছক্কা মারার তালিকায় প্রথম স্থানে আছেন আফিফ। ১২ ম্যাচ ১০ ছক্কা এই ব্যাটারের। এরপরেই আছেন নুরুল হাসান (৯) ও লিটন দাস (৭)। ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টিতে সর্বাধিক ২২৯টি ছক্কা হাঁকিয়েছে ভারতীয় ব্যাটাররা। এরপর ক্যারিবীয়রা ১৪৭টি। বুলগেরিয়া ১২৪টি, ইংল্যান্ড ১২৬টি। টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম ছক্কা হাঁকিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। অস্ট্রেলিয়ার ২৪ খেলোয়াড় মিলে হাঁকিয়েছে সূর্যের সমান ছক্কা। এরপর জিম্বাবুয়ে (৬৮ ছক্কা), পাকিস্তান (৭৫ ছক্কা), শ্রীলঙ্কা (৭৮ ছক্কা), দক্ষিণ আফ্রিকা (৭৯ ছক্কা) এবং নিউজিল্যান্ড (৮৮ ছক্কা)।
আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে এ বছর ছক্কা মারায় বাংলাদেশকে পেছনে ফেলেছে আইসিসির বেশ কিছু সহযোগী দেশ। ডেনমার্ক (৫৪ ছক্কা), মালয়েশিয়া (৯২ ছক্কা), পাপুয়া নিউগিনি (৯৪ ছক্কা) ও সিঙ্গাপুর (৬৭) এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের চেয়ে বেশি ছক্কা মেরেছে। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে এ বছর ছক্কা মারার সংখ্যায় সূর্যকুমারের পর দুইয়ে আছেন টনি উরা (১২ ম্যাচে ৩৯টি), তিনে ওয়াসিম (১৩ ম্যাচে ৩৮টি), চারে রোভম্যান পাওয়েল (১৭ ম্যাচে ৩৬টি), পাঁচে ইকবাল হোসেন (১২ ম্যাচে ৩৪টি), ছয়ে কেসি ডি'সউজা (১৭ ম্যাচে ৩১টি), সাতে নিকোলাস পুরান (১৮ ম্যাচে ৩১টি) ও আটে ডানবার (১১ ম্যাচে ২৯টি)।