
ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের চরপাড়া বাজারে মাছ কেনাবেচা নিয়ে বিরোধ এবং পোড়াহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রদের মধ্যে মারামারির জেরে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, শনিবার দুপুরে চরপাড়া বাজারে মাছ কেনাবেচা নিয়ে শৈলকুপা উপজেলার মাইলমারি মির্জাপুর এলাকার কয়েকজনের সাথে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে মাইলমারি মির্জাপুরের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাজারে হামলা চালিয়ে প্রায় ২০টি দোকান ভাংচুর ও ২০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষে রূপ নেয়, যা সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।
এদিকে, পোড়াহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ জানান, বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির রিফাত নামের এক ছাত্রের সাথে অন্য ছাত্রদের মারামারি ঘটনাকে কেন্দ্র করেও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। থানায় দায়ের করা একটি অভিযোগ থেকে এ ঘটনার সূত্রপাত বলে তিনি জানান।
রঘুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন জানান, মাছ কেনাবেচা নিয়ে শুরু হওয়া এই উত্তেজনা পরবর্তীতে সংঘর্ষে রূপ নেয়। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হলে হামলাকারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এতে দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।
হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম তারিকুজ্জামান বলেন, "ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই আমি নিজে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছি। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।"
হরিণাকুন্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ এম এ রউফ বলেন, "চরপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা প্রথমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে আমি অতিরিক্ত ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সেনাবাহিনীর সহায়তায় পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।"
স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে।