
ঝিনাইদহ জেলায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলসহ নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ৯২তম জন্মবাষির্কী উদযাপন করেছে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগ। গত সোমবার (৮ আগস্ট) সকালের দিকে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল জাতীয় দলীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে পূষ্পমাল্য অর্পণ করেন দলীয় নেতাকর্মীরা। মহীয়সী বঙ্গমাতার চেতনা, অদম্য বাংলাদেশের প্রেরণা“ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন-ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসাইদুল করিম মিন্টু। এসময় জেলা আওয়ামী লীগ এর সহ-সভাপতি এ্যাড আজিজুর রহমান, সহ-সভাপতি মকবুল হোসেন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইসমাইল হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক জনাব মো. নজরুল ইসলাম বিশ্বাস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সজীব হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আল-ইমরান সহ জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান আলোচকের বক্তব্যে, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য সহধর্মিণী ও সহযোদ্ধা। বঙ্গমাতা বেগম মুজিব বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতিটি পদক্ষেপে বঙ্গবন্ধুকে সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন ও প্রেরণা দিয়েছেন। দেশপ্রেম, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, সাহসিকতা, ত্যাগ ও অনুপ্রেরণার উৎস বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব মহান স্বাধীনতা অর্জনে এই মহীয়সী নারীর রয়েছে গৌরাবজ্জ্বল ভূমিকা। জেলা আওয়ামী লীগ এর সহ-সভাপতি এ্যাড আজিজুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। এ লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনের নেপথ্যে প্রেরণাদাত্রী ছিলেন ফজিলাতেন্নেছা মুজিব। তিনি বঙ্গবন্ধুর গোটা রাজনৈতিক জীবন ছায়ার মতো অনুসরণ করে তার প্রতিটি কাজে প্রেরণার উৎস হয়ে ছিলেন। পৌর আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক জনাব মো. নজরুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন, বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ছয় দফা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধু যখন বারবার পাকিস্তানি শাসকদের হাতে বন্দি জীবন-যাপন করছিলেন, তখন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কাছে ছুটেযেতেন। তিনি তাদের বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা পৌঁছে দিতেন ও লড়াই-সংগ্রাম চালিয়েযেতে অনুপ্রেরণা যোগাতেন।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সজীব হোসেন বলেন, এদেশের মানুষের আন্দোলন-সংগ্রামে বেগম মুজিব যে কর্তব্যনিষ্ঠা, দেশপ্রেম, দূরদর্শী চিন্তা, বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তার ফলে জাতির পিতার পাশাপাশি তিনি আজ বঙ্গমাতার আসনে অধিষ্ঠিত। এ দেশের রাজনীতিতে তাঁর অনন্য সাধারণ ভূমিকার জন্য চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। এই মহীয়সী নারী ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে সপরিবারে খুনিচক্রের বুলেটের আঘাতে নির্মমভাবে শহীদ হন।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আল-ইমরান বলেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুর প্যারোলে মুক্তি নিয়ে কিছু কুচক্রী স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিপন্ন করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিল, তখন প্যারোলে মুক্তির বিপক্ষে বেগম মুজিবের দৃঢ়চেতা অবস্থান বাংলার মুক্তি সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করেছিল। স্বামী বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ছায়ার মত অনুসরণ করা বেগম মুজিবকে জীবনে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেছেন, এজন্য অনেক কষ্ট-দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তাঁকে।