মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প থ্যাঙ্কসগিভিং–এর বরাবরের ঐতিহ্য অনুযায়ী এ বছরও দুই টার্কি মুরগিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ক্ষমা’ করেছেন। গবল ও ওয়াডল নামের এই দুই সাদা পালকের বিশাল মুরগি নর্থ ক্যারোলিনার একটি খামার থেকে আনা হয়েছিল। প্রতিটির ওজন ছিল ৫০ পাউন্ডের বেশি। ক্ষমা পাওয়ার আগের রাতেই তাদের রাখা হয় হোয়াইট হাউসের পাশের বিলাসবহুল উইলার্ড ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের বিশেষ কক্ষে।
ওয়াশিংটনের রোজ গার্ডেনে হাস্যরসাত্মক পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে ট্রাম্প জানান, প্রথমে তিনি মুরগি দুটির নাম চাক ও ন্যান্সি রাখতে চেয়েছিলেন—ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার ও সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির নাম অনুসারে। তবে পরে মত বদলে তিনি মজা করে বলেন, ওই নাম দিলে তাদের ক্ষমা করা হতো না; কারণ তিনি ওই দুই নেতাকে কখনো ক্ষমা করবেন না। এ সময় ট্রাম্প আরও দাবি করেন, গত বছর জো বাইডেন যে টার্কি দুটিকে—পিচ ও ব্লসম—ক্ষমা দিয়েছিলেন, তা নাকি ‘অবৈধ’, কারণ বাইডেন নাকি স্বয়ংক্রিয় সাইনিং ডিভাইস ব্যবহার করেছিলেন। যদিও এই অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।
প্রথাটি শুরু হয় ১৯৮৯ সালে, যখন প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ প্রথমবার থ্যাঙ্কসগিভিং-এ বাছাই করা প্রাণীদের মধ্যে কয়েকটিকে জীবন দান করেন। সেই ধারাবাহিকতায় ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬০০ বারের বেশি ক্ষমা দিয়েছেন—যার মধ্যে রয়েছে ২০২০ সালের নির্বাচনের ফল পাল্টানোর প্রচেষ্টায় জড়িত ব্যক্তিদের ছাড় দেওয়া এবং ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল হামলায় যুক্ত প্রায় দেড় হাজার জনকেও ক্ষমা করা।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। এ অবস্থায় ট্রাম্প আবারও দাবি করেন, এ বছরের থ্যাঙ্কসগিভিংয়ের খাবার আমেরিকানদের জন্য হবে আরও সাশ্রয়ী। তিনি ওয়ালমার্টের এক গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, গত বছরের তুলনায় ব্যয় নাকি ২৫ শতাংশ কম। তবে আমেরিকান ফার্ম ব্যুরো ফেডারেশনের হিসাব বলছে সাশ্রয় মাত্র ৫ শতাংশ, আর মোট ব্যয় দাঁড়াবে প্রায় ৫৫ ডলার।
সবশেষে নিশ্চিত করা হয়েছে, এ বছর ক্ষমাপ্রাপ্ত গবল ও ওয়াডল জীবনের বাকি সময় কাটাবে নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট ইউনিভার্সিটির কৃষি কলেজে।