
দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রোববার সকালে (স্থানীয় সময়) ভয়াবহ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় অন্তত ৮৫ জন নিহত হয়েছেন। জেজু এয়ারের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজটি ব্যাংকক থেকে ১৮১ জন আরোহী নিয়ে মুয়ানে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে এবং দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে অগ্নিগোলকে পরিণত হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ফ্লাইট ৭সি২২১৬-এ ১৭৫ জন যাত্রী এবং ৬ জন ক্রু ছিলেন। নিহতদের মধ্যে ৪৬ জন নারী ও ৩৯ জন পুরুষ। বাকি আরোহীদের ভাগ্য এখনও অজানা। উদ্ধার অভিযানে দুজন ক্রুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
বিমানবন্দরে অবতরণের সময় পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটি দেখা দেয় বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। তবে দুর্ঘটনার কারণ নিশ্চিত করতে তদন্ত চলছে।
দুর্ঘটনার পর মুয়ান বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, উড়োজাহাজটি চাকা ছাড়াই রানওয়ে দিয়ে ছেঁচড়ে গিয়ে দেয়ালে ধাক্কা খায় এবং বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়।
জেজু এয়ারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে সহায়তা করতে তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সুং-মক দায়িত্ব গ্রহণের দুই দিনের মাথায় এই সংকটের মুখোমুখি হয়েছেন। তার কার্যালয় জানিয়েছে, তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন এবং উদ্ধার কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এই দুর্ঘটনা দক্ষিণ কোরিয়ার এভিয়েশন ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তদন্ত শেষে আরও বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।