
দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত 'কোডেক অফিসে নারীকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ' সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কোডেক বাহেরচর শাখার ব্যবস্থাপক মো. হুমায়ুন কবির।
গতকাল এক প্রেস নোটে এ প্রতিবাদ জানান তিনি। এর আগে গত ২৭-০৬-২৪ তারিখে দৈনিক যুগান্তরের ২৫ তম বছরের ১৩৬ তম সংখ্যায় ২য় পাতায় ৩ নং কলামে 'কোডেক অফিসে নারীকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ' শিরোনামে সংবাদটি প্রকাশ হয়।
সংবাদে অভিযোগ করা হয়, 'ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করায় থানায় যাওয়ার কথা বলে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে এক নারীকে কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের (কোডেক) অফিসে নিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।'
সংবাদটিকে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে মো. হুমায়ুন কবির বলেন, কোডেক বাহেরচর শাখার সদস্য আরজু বেগম (স্বামী: মিজানুর ঘরামি, গ্রাম চতলাখালী, থানা: রাঙ্গাবালী, জেলা: পটুয়াখালী ) গত ১৯-০৯-২৩ ইং তারিখে কোডেক রাঙ্গাবালী শাখা থেকে এক লাখ টাকার ঋণ গ্রহণ করেন। প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা কিস্তিতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই ঋণ পরিশোধ করার কথা। ঋণ নেয়ার পর ৬ মাস তিনি যথাযথ প্রক্রিয়ায় কিস্তি প্রদান করে আসছেন। এরপর থেকেই তিনি ঋণ পরিশোধে গড়িমসি শুরু করেন এবং গত ৩ মাস ধরে কিস্তি পরিশোধ করেন নি। কিস্তি পরিশোধের জন্য একাধিকবার সময় নিয়েও তিনি তা পরিশোধ না করে বরং এক পর্যায়ে আমাদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে আত্মগোপনে থাকেন। ঋণ গৃহীতার লুকোচুরি বিষয়টি ঋণের জামিনদার দেলোয়ার হোসেনকে (পিতা: রতন আলী, গ্রাম: কাছিয়া বুনিয়া, থানা: রাঙ্গাবালী, জেলা: প টুয়াখালী ) অবহিত করলে তিনি গত মঙ্গলবার (২৫ জুন, ২০২৪) বিকেলে ঋণ গহীতা আরজু বেগমকে নিয়ে পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালীর বাহেরচর শাখার কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের (কোডেক) শাখা কার্যালয়ে আসেন বিষয়টি সমাধানের জন্য। ওই সময় চতলা খালি মহিলা সমিতির কোড ৫২সভাপতি ইলিয়াস খানসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। সকলের উপস্থিতিতে পরবর্তী শনিবার (২৯ জুন) ঋণের টাকা পরিশোধ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আরজু বেগম সহ সকলে আমাদের কার্যালয় ত্যাগ করেন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে আমরা দেখতে পাই, পরদিন ২৭ জুন সকালে দৈনিক যুগান্তরসহ গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়, উক্ত ঋণ গ্রহীতা নারীকে অফিসে ডেকে এনে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও তার গায়ে হাত তোলা হয়েছে। আমি অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলছি যে, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা একটি অভিযোগ। ঋণের টাকা পরিশোধের ব্যাপারে ঋণ গ্রহীতার সাথে আমাদের বাকবিতণ্ডা হয়েছে, কিন্তু কোনো ধরনের অশ্লীল বাক্য বিনিময় কিংবা গায়ে হাত তোলার মতো ঘটনা ঘটে নি।
আর উল্লেখ্য যে, যে দুজন ব্যক্তির বরাত দিয়ে দৈনিক যুগান্তরের রিপোর্টার সংবাদটি প্রচার করেছেন তাদের একজন উক্ত ঋণ গ্রহীতা আরজু বেগম। আর দ্বিতীয় ব্যক্তি শাহিন হোসেন কোডেক বাহেরচর শাখার একজন সদস্য।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে নিয়মবহির্ভূতভাবে বড় অংকের ঋণের জন্য শাখা অফিসের কর্তৃপক্ষের কাছে ধর্ণা দিয়ে আসছেন, কিন্তু বিগত দিনে ঋণখেলাপ করায় তাকে নতুন করে ঋণ প্রদান করা হয় নি। যে কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি সাংবাদিকদেরকে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা করেছেন।
মো. হুমায়ুন কবির কোডেক বাহেরচর শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের পক্ষে এ ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।