
আব্দুল আলীম সাচ্চু:
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীচর গ্রামে মিঠু মন্ডল ও আম্বার খানের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলা-পাল্টা হামলায় ২ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পাখি ভ্যানসহ ২ লাখ টাকার মালামাল লুট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতরা বর্তমানে দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা গেছে, গত ২৪ মে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচর গ্রামে আম্বার খান পক্ষের এক ছেলে পাখিভ্যান চালক তারাগুনিয়া থেকে বাড়ি ফেরার পথে মিঠু মন্ডলের ছেলে আলীর শরীরে ধাক্কা লাগলে ভ্যান চালককে বেধড়ক মারপিট করে আলী। পরের দিন মিঠুর ছেলে আলী (১৪) বৈরাগীরচর হাই স্কুলে আসলে আম্বার খানের লোকজন তাকে আটকে বেধড়ক মারপিট করে যখন করে। ওইদিন সন্ধ্যায় আম্বার খানের ছেলে নীরব (১১) তার এলাকায় গেলে তাকেও মারার ঘটনায় আম্বার খান তার এলাকার লোকজন নিয়ে সশস্ত্র অবস্থায় মিঠুর বাড়িতে হামলার পরিকল্পনা করে আসলে পথে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ছাত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। পরের দিন সকাল ৮ টার সময় আম্বারের নেতৃত্বে সেলিম, সজীব, হৃদয়, স্বাধীন, হেলালসহ শতাধিক লোক জন ধারালো দেশিয় অস্ত্র লাঠি শুঠা নিয়ে সশস্ত্রবস্থায় রিফুজি পাড়া গ্রাম থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে মিঠু ও তার ছেলের হাত পা ভেঙ্গে দেওয়ার স্লোগান দিয়ে বৈরাগীচর বাজারে পৌঁছালে পুলিশ দ্রুত পৌঁছে ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করে।
এদিকে এ ঘটনার জের ধরে গত সোমবার দুপুর ২ টার দিকে মিঠুর বংশের মোতালেবের ছেলে সজীব (৩২) পাখি ভ্যানে মিঠুর দোকানের প্রায় ২ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে রিফুজি পাড়ার মোড়স্থ কাঠ মিলের কাছে পৌঁছালে পূর্ব থেকে অবস্থান করা আম্ববার খান, সেলিম, নিরব, হেলালসহ ১০/১২ জন পাখি ভ্যান চালক সজীবকে মেরে মারাত্মক জখম করে তার ভ্যান নিয়ে যায়। পথচারিরা তার ডাক চিৎকারে এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ঘটনায় আহতর পিতা মোতালেব নিজে বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় মামলার জন্য লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।