
দুমকি সংবাদদাতা, পটুয়াখালী:
পটুয়াখালীর দুমকিতে ছিনতাই ও শ্লীলতাহানি চেষ্টা মামলায় যুবলীগ নেতা মতিউর রহমান লিটনকে (৩৮) কারাগারে পাঠিয়েছে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আমলি আদালতের বিচারক। সে উপজেলার আঠারগাছিয়া গ্রামের নেছার উদ্দিনের ছেলে এবং লেবুখালি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
মামলা (সিআর ৭৯/২০২২) সূত্রে জানা যায়, মতিউর রহমান লিটন (৩৮) পারিবারিক ঝগড়া ও কথাকাটাকাটির সূত্র ধরে ২৩ এপ্রিল (শনিবার) দুপুর আড়াইটার দিকে কার্তিকপাশা থেকে আঠারগাছিয়া যাওয়ার সময় শিকদার বাড়ি কবরস্থানের পাশে একই গ্রামের মো. শাখাওয়াত এর স্ত্রী রুবিনাকে (১৯) পথে একা পেয়ে হাত ধরে টেনে রাস্তার পাশে ঝোঁপের মধ্যে নিয়ে যায় এবং যৌন কামনায় স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে। ডাক চিৎকার করলে কতিপয় স্বাক্ষীগণের উপস্থিতি টেরপেয়ে রুবিনার গলায় থাকা এক ভরি ওজনের চেইন ও ব্যাগে থাকা ঐদিন ভিলেজ অন্ড সিটি ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (এনজিও) থেকে উত্তোলনকৃত নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে অভিযুক্ত লিটন পালিয়ে যায়।
বাদী পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদলতে মামলা করলে আদালতের ধার্য্য তারিখে ( ৮/৬/২০২২ ইং) উপস্থিত হয়ে আসামী মতিউর রহমান লিটন জামিন আবেদন করলে আদালত উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনে জামিন আবেদন নামন্জুর করে আসামীকে জেল হাজতে প্রেরন করেন।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হাওলাদার ফিরোজ্জামান বলেন, তার নামে পারিবারিক মামলা থাকতে পারে, তা পারিবারিকভাবেই মোকাবেলা করুক। এটা আমাদের সাংগঠনিক কোন বিষয়ে নয়।