
বাংলাদেশে প্রতিদিন ৪০ জন শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। এর মধ্যে পাঁচ বছরের নিচে ৩০ জন আর পাঁচ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে ১০ জন। বছরে এ মৃত্যুর সংখ্যা ৪০ হাজারের বেশি। এই মৃত্যুর শিকার অধিকাংশ শিশুই নিম্ন আয়ের পরিবারের। এ পরিস্থিতি বদলাতে শিশুর বিকাশ সুরক্ষা ও সাঁতার প্রশিক্ষণ আর পরিবারের সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশেষ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার। এটি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি বাস্তবায়ন করবে। গতকাল রবিবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশু-যত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুদের প্রারম্ভিক বিকাশ ও সুরক্ষা এবং শিশুর সাঁতার সুবিধা প্রদান’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। সেখানে এসব তথ্য জানানো হয়।
সমাজভিত্তিক সমন্বিত প্রাক-শৈশব বিকাশ (ইসিসিডি) সেবা প্রদানসহ শিশু সুরক্ষায় এ প্রকল্পটি তিন বছর মেয়াদি। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এর ৮০ শতাংশ বহন করবে বাংলাদেশ সরকার এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বহন করবে ২০ শতাংশ। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় শিশু একাডেমির কেন্দ্রীয় ও জেলা শাখার তত্ত্বাবধানে দেশের ১৬টি জেলায় শিশুযত্ন বিষয়ে অভিজ্ঞ স্হানীয় এবং আঞ্চলিক পর্যায়ের এনজিওদের মাধ্যমে প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে পাঁচ বছরের নিচে শিশু-মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ২৫ জনে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারিত থাকায় এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশুদের পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ জরুরি। গতকাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
তিনি বলেন, প্রকল্পটি আমাদের দেশের শিশুদের জীবন রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।