
রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ হোসাইন ওরফে মিথুনকে ছিনিয়ে নিতে ছাত্রদল-যুবদলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী হামলা চালায়। এতে নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) তারিক লতিফসহ চার থেকে পাঁচ জন পুলিশ কর্মকর্তা গুরুতর আহত হন। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
নিউমার্কেট থানা পুলিশ জানায়, রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে পূর্বাচল ৩০০ ফিট এলাকা থেকে মিথুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মিথুনকে থানায় আনার সময় সমর্থকরা পুলিশের গাড়ি থামানোর চেষ্টা করে। পরে থানায় পৌঁছানোর পর হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার ঘটনায় পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন– বশির ইসলাম (২৮), মোহাম্মদ হাসান (২১), মোহাম্মদ ইমন (২৫), মাসুম মাহমুদ (৩২), মোহাম্মদ আলামিন (৩০) ও আকবর আলী।
এ ঘটনায় নিউমার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুক বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে তদন্ত চলছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১০ জানুয়ারি এলিফ্যান্ট রোডে মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের সামনে মাল্টিপ্ল্যান দোকান মালিক সমিতির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হককে কুপিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মাল্টিপ্ল্যান দোকান মালিক সমিতির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুল হাসান সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ‘ইমন গ্রুপ’ এর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রিমান্ডে নেওয়া এক আসামি পুলিশের কাছে স্বীকার করে যে, মিথুন তাকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইমন গ্রুপের মূলহোতা সানজিদুল হাসান ইমনের হয়ে ধানমন্ডি এলাকায় চাঁদাবাজির কাজ করতেন মিথুন।
নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসিন উদ্দিন আতিক বলেন, “ছাত্রদল নেতা মিথুনকে পুলিশের গাড়ি থেকে ছাড়িয়ে নিতে তার সমর্থকরা চেষ্টা করেছিল, তবে তা ব্যর্থ হয়েছে। হামলার ঘটনায় পৃথক মামলা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।”
কী নির্দেশে হামলা হয়েছে, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত কর্মকর্তা হামলার নির্দেশদাতা চিহ্নিত করবেন।”