
নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোর সদর হাসপাতাল থেকে নার্সের ছদ্মবেশে চুরি করে নিয়ে যাওয়া নবজাতককে কুষ্টিয়া থেকে উদ্ধার করেছে নাটোর জেলা পুলিশ।
শনিবার সকালে কুষ্টিয়া জেলার পোড়াদহ থানার খাজানগর গ্রাম থেকে ওই নবজাতককে উদ্ধার করা হয়।একই সঙ্গে চুরির সঙ্গে জড়িত নারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাটোরের পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান তার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ সুপার বলেন, নলডাঙ্গা উপজেলার মহিষডাঙ্গা গ্রামের মাহফুজুর রহমানের স্ত্রী হাসনা হেনা নাটোর সদর হাসপাতালে গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে একটি কন্যাসন্তান প্রসব করেন। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে একজন নারী নার্সের অ্যাপ্রোন ও মাস্ক পরে ডাক্তারের কাছে চেকআপের কথা বলে শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যান।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর শিশুটিকে উদ্ধারে কাজ শুরু করে পুলিশের একাধিক টিম। সিসিটভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার রাতেই নার্স ছদ্মবেশী কাজলী বেগমকে শনাক্ত করা হয়।নাটোর শহরের চকবৈদ্যনাথ এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কাজলী কুষ্টিয়া জেলার খাজানগর গ্রামের আরিফুল ইসলামের স্ত্রী।তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কুষ্টিয়ার পোড়াদহ থানার খাজানগর গ্রাম থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। আট হাজার টাকায় শিশুটিকে ওই গ্রামের এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে বিক্রি করে দেন কাজলী বেগম।
এদিকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে চুরি হওয়া শিশুকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন নাটোর জেলা পুলিশ।শিশু উদ্ধারে পুলিশের এমন অগ্রণী ভূমিকাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ জনগন।