Date: May 01, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / ঢাকা / নরসিংদীতে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী পলাতক - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

নরসিংদীতে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী পলাতক

June 08, 2023 10:31:13 PM   জেলা প্রতিনিধি
নরসিংদীতে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী পলাতক

নরসিংদীর সংবাদদাতা:
টাকা না পেয়ে নরসিংদীতে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করেছে স্বামী। ঘটনার পর থেকে স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা  পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়। বুধবার রাতে রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের নলবাটা গ্রামে এই হত্যার ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, মালয়েশিয়া প্রবাসী হযরত আলী এক মাস আগে ছুটিতে দেশে ফিরে  স্ত্রীর মাধ্যমে শ্বশুরবাড়ি থেকে এক লাখ টাকা নিয়ে আসার জন্য  চাপ সৃষ্টি  করেন। আফসানা আফসার টাকা এনে দিতে পারবে না বললে শুরু হয় তাদের সংসারে অশান্তি, এ নিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা শালিশ করেন তাতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে  বুধবার রাতে উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের নলবাটা গ্রামে এই হত্যার ঘটনা ঘটে বলে জানান রায়পুরা থানার এসআই ফরিদ উদ্দিন।

নিহত আফসানা আফসার (২৮) গ্রামের হযরত আলীর স্ত্রী। তাদের তিন সন্তান রয়েছে। হযরত (৩৮) দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়া প্রবাসী। তিনি এক মাস আগে দেশে আসেন। তারা বাবা মৃত জহর আলী। 

আফসানার বাবার বাড়ি করিমগঞ্জ গ্রামে। তিনি প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আফসার উদ্দিনের মেয়ে। তার মা হাসনা হেনা বেবি এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ১৪ বছর আগে আফসানা ও হযরত আলী বিয়ে হয়। তাদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। বিয়ের পর হযরত শ্বশুরবাড়ি থেকে তিন লাখ টাকা ধার নিয়ে মালয়েশিয়া যান। কিন্তু সেই টাকা তিনি পরিশোধ করেননি।

এক মাস আগে ছুটিতে দেশে ফিরে হযরত আলী স্ত্রীর মাধ্যমে শ্বশুরবাড়ির কাছে আরও এক লাখ টাকা দাবি করেন। কিন্তু শাশুড়ি সেই টাকা দেননি। এর জেরে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। আফসানার মা হাসনা হেনা বেবি অভিযোগ করেন, “বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে তিন ছেলেমেয়েকে কৌশলে ঝালমুড়ি কেনার জন্য বাজারে পাঠিয়ে দেয় হযরত ও তার পরিবারের লোকজন। পরে হযরত, তার ভাই ছিদ্দিক মিয়া, শাশুড়ি আমেলা খাতুনসহ পরিবারের সদস্যরা বাড়ির পূর্বপাশের একটি পতিত জায়গায় নিয়ে আফসানা আফসারকে জবাই করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।”

রায়পুরা থানার এসআই ফরিদ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই লাশ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ লাশ হস্তান্তর করেছে। তিনি আরও বলেন, নিহতের স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বেনজির আহমেদ বলেন, “হযরত এক মাস আগে দেশে ফিরেছেন। এরপর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। ১৫ দিন আগেও তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়েছিল, আমরা সেটা সামাজিকভাবে স্বাভাবিক করেছিলাম। সম্ভবত একই কারণে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।