
শিবপুর সংবাদদাতা, নরসিংদী:
নিজ বাসায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হওয়ার ৩ মাস পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে গত বুধবার মারা গেছেন শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ খান। বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টায় শিবপুরের মজলিশপুর গ্রামের বাড়ির সামনের মাঠে এই জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
দাফনকালে তাকে বীরমুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায়। ময়নাতদন্ত শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। জানাজার নামাজে নিহতের ভাতিজা নরসিংদী-২ আসনের পলাশ সংসদ সদস্য ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলিপ, ভাতিজা ফজলে রাব্বি খান, ছেলে মো. আমিনুর রশীদ খান তাপস বক্তব্য রাখেন।
এসময় ছেলে তাপস স্থানীয় প্রশাসনের কাছে তার পিতা আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ খানের হত্যার বিচার দাবি করেন।এসময় তিনি মামলার আসামীদের মদদ দাতাদের ও বিচারের আওতায় আনার দাবি করেন তার জানাজা নামাজে নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু নঈম মো. মারুফ খান, নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজিম পিপিএম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম তালেব হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা মোহাম্মদ আলী, সাবেক ও বর্তমান সংসদ সদস্যগণ, বিভিন্ন পৌরসভার মেয়র, বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লাখো মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, যে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে শিবপুর উপজেলা সদরের বাজার সংলগ্ন নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ খান, পরে তাকে শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা জন্য নিলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার আলহাজ্ব হারুনুর রশিদ খানকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ভর্তি করা হয়, এক মাস পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৩ এপ্রিল ভারতের দিল্লীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর অস্ত্রোপচার শেষে ১ মে দেশে নিয়ে আসা হয়, এরপর ৭ মে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, ১৯ মে রাতে তাকে আই সিইউতে নেয়া হয়, আই সিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকেলে মৃত্যুবরণ করেন হারুন অর রশিদ খান।
ঘটনার দুই দিন পর ২৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলে মো. আমিনুর রশীদ খান তাপস বাদি হয়ে শিবপুর মডেল থানায় মামলা রুজু করেন এতে শিবপুরের পুটিয়া এলাকার আরিফ সরকারকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নাম উল্লেখ সহ ও অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়, মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এরমধ্যে এজাহারনামীয় নূর মোহাম্মদ নামের একজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়, এজাহারনামীয় প্রধান আসামীসহ ৪ জন দুবাইয়ে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।