
পুত্র সন্তানের বাবা হয়েছেন পাবনায় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সুজন মণ্ডল। গত বুধবার রাত দশটায় পাবনার আল-সাফা হাসপাতালে নিহত সুজনের স্ত্রী শাহানা খাতুনের কোলজুড়ে জন্মগ্রহণ করে এ সন্তান। এই সুখবরে পাবনা জেলা হেযবুত তওহীদের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়।
উল্লেখ্য, গত ২৩ আগস্ট পাবনায় হেযবুত তওহীদের স্থানীয় কার্যালয়ে ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একদল সন্ত্রাসী গোষ্ঠী অতর্কিতভাবে এ হামলা চালায়। এতে হেযবুত তওহীদের সদস্য মো. সুজন মণ্ডল নিহত হন। এ ঘটনার পর সারাদেশে হেযবুত তওহীদের সদস্যরা রাস্তায় নেমে আসেন। তারা সুজন হত্যার বিচারের দাবীতে জেলায় জেলায় মানবববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
সুজন যেদিন নিহত হন সেই সময় ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন সুজনের স্ত্রী শাহানা খাতুন। সুজনের মৃত্যুর পর আশেপাশের অনেকেই তার স্ত্রী শাহানাকে মনোবল-সান্ত্বনা দিয়েছেন। কিন্তু সুজনের অভাব পূরণের নয়। সুজনের ঘনিষ্ঠজনরা জানান, ৯ বছরের দাম্পত্য জীবনে বেশ সুখী ছিলেন সুজন-শাহানা। একটি সন্তান প্রাপ্তির মাধ্যমে দাম্পত্যে পূর্ণতা খুঁজছিলেন দু’জনে। স্রষ্টা তাদের সেই আশা পূরণও করেছিলেন। কিন্তু মর্মান্তিক বিষয় হলো, নয় বছরের অপেক্ষার পর অনাগত এ সন্তানের মুখ দেখে যেতে পারেননি সুজন। অবশেষে সেই সুজনের ঘর আলোকিত করে এলো পুত্র সন্তান। কিন্তু এ সন্তান কাকে বাবা ডাকবে, যে সন্তান জন্মের আগে হারিয়ে ফেলেছে তার বাবাকে?
এদিকে গত শুক্রবার বিকেলে পাবনা জেলা হেযবুত তওহীদের নেতাকর্মীরা ফুলের তোড়া দিয়ে মা-সন্তানকে শুভেচ্ছা জানান। তারা আনন্দে হাসপাতালসহ আশেপাশের সর্বত্র মিষ্টি বিতরণ করেন। এসময় জেলা হেযবুত তওহীদের নেতারা যেকোন প্রয়োজনে সবসময় সুজনের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এরআগে হেযবুত তওহীদের সদস্যরা জুম’আর নামাজের পর বাঙ্গাবারিয়া গোরস্থানে সুজনের কবর জিয়ারত করেন।