
বগুড়ায় নারী হাজতখানায় ধর্ষণ মামলার আলোচিত আসামি সাবেক যুব-শ্রমিকলীগ নেতা তুফান সরকারকে রাখার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বগুড়ার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নারী হাজতখানায় পুলিশের সহযোগিতায় শহর শ্রমিক লীগের এই নেতাকে রাখা হয়। সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে আদালতের দোতলায় এক হাজতখানায় এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় তুফান সরকারের স্ত্রী আইরিন আক্তার (২০), শাশুড়ি তাসলিমা আক্তার (৪৫), শ্যালক নয়ন আকন্দ (২৫), স্ত্রীর বড় বোন আশা (২৩) এবং আইনজীবী সহকারী হারুনার রশিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সুপারের নির্দেশে নারী হাজতখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা এটিএসআই জয়নাল আবেদীনকে পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান হিসেবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হোসাইন মুহাম্মদ রায়হানকে নিযুক্ত করা হয়েছে। কমিটিকে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে পুলিশ সুপারের কাছে তাদের তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ আদালতের একটি মামলায় সোমবার (৩ মার্চ) হাজিরা দিতে আদালতে নেওয়া হয় অন্য মামলায় কারাগারে থাকা তুফান সরকারকে। হাজিরা শেষে তাকে আদালতের নারী হাজতখানায় রাখা হয়। ওই সময় সেখানে তুফান সরকারের স্ত্রী আইরিন আক্তার, শাশুড়ি তাসলিমা খাতুন, শ্যালক নয়ন আকন্দ, স্ত্রীর বড় বোন আশা এবং আইনজীবী সহকারী হারুনার রশিদ উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে আদালত চত্বর সরব হয়ে ওঠে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হোসাইন মুহাম্মদ রায়হান জানান, "আদালতের নারী হাজতখানায় নারীদের সঙ্গে একটি মামলার আসামি তুফানকে রাখা হয়েছিল। এখানে আইনত অপরাধ হয়েছে। এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার জন্য নারি হাজতের দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা এটিএসআই জয়নাল আবেদীনকে পুলিশ লাইন্সে কো-জড করা হয়েছে।"