Date: May 01, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / আন্তর্জাতিক / বিশ্বের যুদ্ধজাহাজগুলোর মধ্যে এটি সর্ববৃহৎ, ২৫ বছরেও লাগবে না জ্বালানি - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

বিশ্বের যুদ্ধজাহাজগুলোর মধ্যে এটি সর্ববৃহৎ, ২৫ বছরেও লাগবে না জ্বালানি

September 02, 2022 10:37:58 PM   আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বিশ্বের যুদ্ধজাহাজগুলোর মধ্যে এটি সর্ববৃহৎ, ২৫ বছরেও লাগবে না জ্বালানি

প্রতিরক্ষা ও শত্রুকে মোকাবিলা করতে মার্কিন যুক্তরাজ্যের নৌবাহিনীতে যুক্ত হলো বিশ্বের সর্বাধুনিক এবং বিধ্বংসী ডুবোজাহাজ ‌‘এইচএমএস অ্যানসন’। প্রায় ১৬০০ কিমির মধ্যে যে কোনো লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আক্রমণ করতে সক্ষম এবং একবারের জ্বালানিতে টানা দুই যুগের বেশি সময় চলতে পারবে এই ডুবোজাহাজ।
প্রধামন্ত্রী বরিস জনসনের উপস্থিতিতে গত বুধবার (৩১ আগস্ট) দেশটির রয়্যাল নেভি আনুষ্ঠানিকভাবে এই ডুবোজাহাজটির উদ্বোধন করেছে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন এই জাহাজটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। ডুবোজাহাজটির ওজন ৭৮০০ টন এবং লম্বায় প্রায় ৩১৮ ফুট।
দেশটির রয়্যাল নেভির দাবি,  বিধ্বংসী ডুবোজাহাজ ‌এইচএমএস অ্যানসনে ৩৮টি টর্পেডো এবং ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারবে। যে কোনো লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আক্রমণ করতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, যে কোনো প্রতিপক্ষের জাহাজ কিংবা ডুবোজাহাজকে মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংস করতে সক্ষম এ ডুবোজাহাজ। 
সংস্থাটি আরও দাবি করেন, জাহাজটির ভেতরে প্রায় একশত মানুষ থাকতে পারবে। এর ভেতরে আরও থাকবে একটি পারমাণবিক চুল্লি। এই চুল্লি থেকেই প্রয়োজনীয় শক্তি সংগ্রহ করবে ডুবোজাহাজটি। ফলে ২৫ বছরের কার্যকালের মেয়াদে এক বারের জন্য জ্বালানি ভরার প্রয়োজন পড়বে না অ্যানসনের।
বিশ্বের যুদ্ধজাহাজগুলোর মধ্যে এটি সর্ববৃহৎ এবং সর্বাধিক উন্নত বলেও দাবি করেন তারা।
অষ্টাদশ শতাব্দীর বিখ্যাত নৌ কর্মকর্তা জর্জ অ্যানসনের নামানুসারে ডুবোজাহাজটির নামকরণ করা হয়েছে। অ্যানসন জাহাজপথে প্রায় চার বছরে সারা বিশ্ব পরিভ্রমণ করেছিলেন। এমনকি ১৭৪৭ সালে পরাস্ত করেছিলেন ফিনিস্তারে অন্তরীপে ফরাসি নৌবাহিনীকে।
২০২১ সালের এপ্রিল মাসে ব্রিটেনের ডিভোনশায়ার বন্দরে প্রথম আনা হয় ডুবোজাহাজটিকে। তার পর ডুবোজাহাজটির নানা দিক খতিয়ে দেখেন প্রযুক্তিবিদরা।
প্রথম বারের জন্য ডুবোজাহাজটিকে পরিচালনায় দায়িত্ব পেয়েছেন দেশটির নৌবাহিনীর অন্যতম কর্মকর্তা ডেভিড ক্রসবি। এই যুদ্ধজাহাজটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নৌবাহিনীর তুলনায় ব্রিটেনের নৌবাহিনীকে কয়েক অনেক এগিয়ে রাখবে দাবি করেন এই নৌ কর্মকর্তা।