Date: April 30, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / ঢাকা / ভাটারায় আমানা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের বিরুদ্ধে কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের...

ভাটারায় আমানা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের বিরুদ্ধে কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ

December 07, 2024 06:48:38 PM   নিজস্ব প্রতিনিধি
ভাটারায় আমানা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের বিরুদ্ধে কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ

রাজধানীর ভাটারা থানাধীন জোয়ার সাহারা এলাকায় আমানা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের বিরুদ্ধে বিদেশ পাঠানোর নামে প্রায় ৩ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা ভাটারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নম্বর ১৯৯৮) করেছেন। অভিযোগে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটির মালিক দেওয়ান মো. আনিসুর রহমানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, আমানা ট্যুরসের মালিক দেওয়ান মো. আনিসুর রহমান রাজধানী ভাটারার ১৭ নং ওয়ার্ডের জোয়ার সাহারা মহল্লার মো. সেকেন্দার আলীর ছেলে। তিনি প্রায় ৬০-৭০ জনের কাছ থেকে সৌদি আরব, সার্বিয়া এবং মেসোডোনিয়া পাঠানোর কথা বলে ৩ কোটি টাকার বেশি অর্থ সংগ্রহ করে অজ্ঞাতস্থানে পালিয়েছেন।

সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহকালে ভুক্তভোগীরা জানান, সৌদি আরব, সার্বিয়া এবং মেসোডোনিয়ায় পাঠানোর কথা বলে আমান ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস মো. ওয়াহিদুর রহমান রতন, জাকির হোসেন, মো. সোহেল আহমেদ এবং ইমনসহ চারজনের কাছ থেকে প্রতারক আনিসুর রহমান নগদ ও ব্যাংকের মাধ্যমে প্রায় ৪০ লাখ টাকা নিয়েছে। এর মধ্যে মো. ওয়াহিদুর রহমান রতনের থেকে ১৫ লাখ ২০ হাজার টাকা, জাকির হোসেনের থেকে ৮ লাখ টাকা, সোহেল আহমেদের থেকে ৮ লাখ টাকা এবং ইমনা নামের একজনের থেকে ৮ লাখ টাকা টাকা নিয়েছে। পরবর্তীতে বিদেশে পাঠানোর জন্য কিছু প্রসেসিং করা হলেও বিভিন্ন তারিখ দিয়েও বিদেশে পাঠাচ্ছে না প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ রেখে মালিক ও কর্মচারীরা পলাতক বলে জানান তারা।  এ ব্যাপারে আনিসুর রহমানের আরেক এজেন্ট ও টাকার জামিনদার মো. একরামুল হকের সাথেও যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো সহায়তা করেননি।

ভুক্তভোগী সোহেল আহমেদ জানান, গত ৪ নভেম্বর ভোর ৫টায় আনিসুর রহমানের অফিসে গেলে তারা জানতে পারেন, আনিসুর তাদের টাকা, পাসপোর্ট এবং অন্যান্য কাগজপত্র নিয়ে পালিয়ে গেছেন। অফিস ও বাসায় খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

আনিসুর রহমানের গ্রামের বাড়ির স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এটিএম বদিউল আলম জানান, তিনি গ্রামে কম খরচে হজে পাঠানোর নামে অনেক মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তিনি আরও জানান, আনিসুর গ্রামের মানুষের কাছ থেকেও অর্থ সংগ্রহ করে পালিয়েছেন।

ভুক্তভোগীরা জানান, দ্রুত প্রতারক আনিসুর রহমানকে আইনের আওতায় না আনলে প্রায় ৬০ জন মানুষ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বেন। তারা দ্রুত প্রশসানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দেওয়ান মো. আনিসুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নি।

এই ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। দ্রুত অভিযুক্তকে আটক করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।