
ভাষা ও সাহিত্য কল্যাণ পরিষদের ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সাহিত্য সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।মঙ্গলবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপি।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন, সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আগা খান মিণ্টু। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেখক, গবেষক ও ইসলামি চিন্তাবিদ ও হেযবুত তওহীদের শীর্ষ নেতা হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম।
অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম বলেন, যুগে যুগে সাহিত্য-সংস্কৃতি রচিত হয়েছে মানুষকে জাগরিত করার জন্য। মানুষের ভিতরের বোধকে উদ্দীপ্ত করার জন্য। সাহিত্য সংস্কৃতি মানুষের জীবনী শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনেও সাচহিত্য সংস্কৃতি ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। এসব আন্দোলনের সৈনিকদেরকে প্রেরণা দিয়েছে সাহিত্যিকগণ। ভাষা আন্দোলনের সময়, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সাহিত্য সংস্কৃতিও ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ইসলামে সংস্কৃতি চর্চার যে স্বাধীনতা রয়েছে তাকে এই গোষ্ঠীটি গলা টিপে হত্যা করতে চায়। এসময় তিনি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক বিপ্লব গড়ে তুলতে হবে। অন্যথায় এক সময় সংস্কৃতি কর্মী ও শিল্পীদের ঘরে ঘরে হামলার ঘটনা ঘটবে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। সুস্থ ধারার সংস্কৃতির বিকাশে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ, শৃঙ্খলা, আনুগত্য, অসুস্থ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ সহ ছয় দফা রূপরেখা তুলে ধরেন তিনি।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভাষা ও সাহিত্য কল্যাণ পরিষদের সভাপতি রাজিয়া সুলতানা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমেদ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব সৈয়দ মুজিবুল হক এবং কবি ও সাংবাদিক রাজু আলীম, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাহিদ রোকসানা, কবি আসাদুল্লাহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের আলোচনা শেষে কবিতা আবৃতি, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সভায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ লেখক, কবি ও সংগঠকদের মাঝে স্মারক সম্মাননা প্রদান করা হয়।