
ভারতের মণিপুর রাজ্যে সহিংসতার নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। বিক্ষুব্ধ জনতা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের বাড়িতে হামলার চেষ্টা করেছে। একই সঙ্গে তিনজন মন্ত্রী ও ছয়জন বিধায়কের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানী ইম্ফলসহ সাত জেলায় ইন্টারনেট বন্ধ এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) মণিপুরের ইম্ফলে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে প্রবেশের চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী বাধা দিলে তারা সহিংস আচরণ শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে বাধ্য হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গত বছরের মে মাস থেকে কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের সংঘাতের জেরে অশান্ত মণিপুর। সর্বশেষ, একটি নদী থেকে আট মাস বয়সী শিশুসহ ছয়জনের মরদেহ উদ্ধারের পর রাজ্যজুড়ে উত্তেজনা আরও বাড়ে।
এর আগে কুকি বিদ্রোহীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
ইম্ফল পূর্ব ও পশ্চিম জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি বিষ্ণুপুর, থৌবাল, কাঙ্কপোকপি, চূড়াচন্দপুরসহ সাত জেলায় ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে। মণিপুর সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে এবং আফস্পা (আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ারস অ্যাক্ট) পর্যালোচনা ও প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছে।
২০২৩ সালের মে মাসে শুরু হওয়া কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের সংঘাতের মূলে রয়েছে উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত কোটা ব্যবস্থা। সাম্প্রতিক সহিংসতায় রাজ্যটি আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে, যা নিয়ন্ত্রণে নিতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন।