
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরবরাহ করা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেন প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে ব্রিয়ানস্ক অঞ্চলে এই হামলা হয়।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেন আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) ব্যবহার করে হামলা চালায়। পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে এবং একটি ধ্বংসাবশেষ সামরিক স্থাপনায় পড়ে আগুন লাগিয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহত হয়নি বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনের গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে। তবে এ বিষয়ে ইউক্রেনীয় সরকার এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে, ব্রিয়ানস্ক এলাকার কারাচেভ শহরের কাছে একটি গোলাবারুদের গুদামে হামলা চালানো হয়েছে। তবে এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের কথা সরাসরি উল্লেখ করেনি। স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, এই হামলার পর ১২টি বড় ধরনের বিস্ফোরণ হয়।
অন্যদিকে, এই হামলার প্রেক্ষিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার পরমাণু নীতিতে পরিবর্তন এনেছেন। নতুন নীতিতে বলা হয়েছে, পারমাণবিক শক্তিধর কোনো দেশের সমর্থনে রাশিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হলে মস্কো পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে। এর ফলে ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সাম্প্রতিক এই পরিস্থিতি পূর্ব ইউরোপের উত্তেজনাপূর্ণ যুদ্ধ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।