
আগামী আগস্টে রাশিয়ার সঙ্গে ফের আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইউক্রেন। পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ার দখলদারিত্বের মধ্যেই আলোচনায় বসার কথা জানাল কিয়েভ। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, আগামী পহেলা জুলাই থেকে ইউক্রেনে আসতে রুশ নাগরিকদের ভিসা লাগবে। আগস্টেই ফের আলোচনা শুরু!
কিয়েভের প্রধান মধ্যস্থতাকারী ডেভিড আরাকহামিয়া মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বলেছেন, আগস্টের শেষ দিকে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে ইউক্রেন। গত মার্চের শেষ দিকে আলোচনা স্থগিত করা হয়। আলোচনা বন্ধ হওয়ার জন্য একে অপরের ওপর দোষ চাপায়। ইউক্রেন তুরস্কে আলোচনায় বসার কথা জানালেও রাশিয়া সম্মতি দেয়নি। এদিকে ইজিয়াম শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রুশ বাহিনী এবং ইউক্রেন সেনাদের মধ্যে লড়াই অব্যাহত রয়েছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এক কূটনীতিককে বিপুল পরিমাণ মাদক পাচারের দায়ে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন রাশিয়ার একটি আদালত। মার্ক ফোগেল এক সময়ে মস্কোর মার্কিন দূতাবাসে কাজ করতেন। তবে গ্রেফতার হওয়ার সময়ে তিনি সেখানকার এক স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। মার্কিন বাস্কেটবল তারকা ব্রিটনি গ্রিনারের বিরুদ্ধে গাঁজা সংক্রান্ত যে মামলার শুনানি চলছে সেই একই বিচারিক ক্ষেত্রে ফোগেলকে সাজা দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক এলাকায় গাঁজা বৈধ হলেও রাশিয়ায় এটি এখনো অবৈধ। ভিসা লাগবে রুশদের
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের ওপরে রাশিয়া হামলা করার পর কেটে গিয়েছে প্রায় চার মাস। দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সম্পর্ক একেবারে তলানিতে, তা বলাই বাহুল্য। এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ঘোষণা করেছেন, এবার থেকে ইউক্রেনে যেতে ইচ্ছুক রুশ নাগরিকদের ভিসা দেওয়া হবে। আগামী পহেলা জুলাই থেকে ভিসা ছাড়া কোনো রুশ নাগরিক ঢুকতে পারবেন না সে দেশে। শিগ্গিরই এই সংক্রান্ত নিয়ম চালু হতে চলেছে। একটি টেলিগ্রাম পোস্টে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ক্যাবিনেটে পাশ হয়ে গেলেই লাগু হবে এই নিয়ম। দেশের সার্বভৌমত্ব, সুরক্ষা ও আঞ্চলিক ঐক্য রক্ষা করতেই এই পরিকল্পনা বলে জানান তিনি। এই সিদ্ধান্তকে প্রতীকী বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কেননা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই দুই দেশের সীমান্ত সরকারিভাবে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ফলে ভিসা প্রবর্তন করলেও বর্তমান পরিস্থিতির খুব বেশি কিছু পরিবর্তন হবে না।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে ফেলার অভিযোগ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। গতকাল শনিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি-বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল এই অভিযোগ করেন। জোসেফ বোরেল বলেন, ইউক্রেনের খাদ্যশস্য পরিবহন ও রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপের মাধ্যমে বিশ্বকে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে ফেলছে রাশিয়া। কাল সোমবার লুক্সেমবার্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আলোচনায় খাদ্য নিরাপত্তার হুমকি এবং ইউক্রেন ইস্যুতে মস্কোর ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে।—বিবিসি, রয়টার্স ও সিএনএন