
ভোলার লালমোহন উপজেলার কথিত মেহের বাহিনীর বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা। সাধারণ মানুষ থেকে সরকারদলীয় নেতাকর্মী কেউই বাদ যায় নি এই গ্যাংয়ের নির্যাতনের হাত থেকে। মেহেরবাহিনীর লাঞ্ছিত, শারীরিক নির্যাতন, চাঁদাবাজি, ভূমি দখলসহ সকল অত্যাচার থেকে বাঁচতে ডিসি ও এসপি বরাবর এ অভিযোগ দেন তারা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৪ জুন মেহের তার বাহিনী নিয়ে সন্ধ্যায় লালমোহন উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের হরিগঞ্জ বাজারের কয়েকটি দোকানে, ২৫ জুন প্রকাশ্য দিবালোকে তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াদ হোসেন হান্নানের বাড়িতে ও একই দিন লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের সেরাজল হক হাং বাড়িতে ভাঙচুর-লুটপাট চালায়। মেহের ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে দোকানে থাকা নগদ টাকা ও মালামাল এবং বাড়িতে থাকা স্বর্ণালংকার সহ নগদ টাকা লুটের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও ২০১৬ সালে লালমোহন পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ড চর ছকিনাতে প্রকাশ্য দিবালোকে অস্ত্র হাতে মেহের তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে কয়েকটি বাড়িতে লুটপাট চালায়। ভোলা-৩ আসনের জনপ্রতিনিধি বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগায় এ ধরনের অপরাধ করলেও মেহের ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে না কোনো ব্যবস্থা। ফলে তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, ২০০৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুষ্ঠানের মঞ্চ ভাঙচুর, ২০০১ সালে লালমোহন উপজেলার সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদেরকে লাঞ্ছিত, শারীরিক নির্যাতন, চাঁদাবাজি, ভূমি দখল ও মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপকর্মের মূল হোতা এই মেহের বাহিনী। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া মেহের বাহিনীর নেতা মেহের লালমোহন পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি পদে থেকেছেন। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও মেহের বাগিয়ে নিয়েছেন লালমোহন পৌর যুবলীগের সভাপতি পদ।
এদিকে সন্ত্রাসী মেহের ও তার বাহিনীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ও এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে এলাকার তৃণমুল আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা সোচ্চার হয়ে উঠেছে। মেহেরের বিরুদ্ধে এম.পি ১৭৩/২৩ ডিবি (লাল), এম.পি ১৬৬/২৩ ডিবি (লাল), এম.পি ৫৪/২৩ ডিবি (তজু), এম.পি ১০৪/২২ সিআইডি (লাল) ও টঙ্গী থানার ১টি মামলাসহ এই ৫ মামলা চলমান রয়েছে। এ সকল মামলার বাদীরা মেহের ও তার বাহিনীর সন্ত্রাসীদের ভয়ে বাড়িতে থাকতে পারছে না বলেও অভিযোগ করেছেন বাদীরা।