
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে জোরপূর্বক চতুর্থ শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ধর্ষণ চেষ্টার পর দোতলার ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শিশুটি প্রাণে বেঁচে গেলেও তার ডান পা ভেঙে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে। আহত শিশুটিকে উদ্ধার করে তার স্বজনরা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। ধর্ষণের চেষ্টাকারী আব্দুল কুদ্দুস (৬৫) কালাই উপজেলার আতাহার বামন গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে।
গত ৯ এপ্রিল বুধবার সকাল ১১টায় ক্ষেতলাল উপজেলার বিনাই মধ্যপাড়া গ্রামের হাসানের মেয়ে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী (১০) এর সাথে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর বাবা-মা ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। সে কারণে মেয়েটি তার দাদা-দাদির কাছে থাকতেন। অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুস গত এক বছর ধরে উপজেলার বিনাই মধ্যপাড়া গ্রামে একটি নির্মাণাধীন ফাঁকা বাড়িতে থেকে কৃষি দিনমজুরের কাজ করতেন। ঘটনার দিন শিশু শিক্ষার্থীটিকে বাড়ির সামন দিয়ে যাওয়ার সময় একা পেয়ে আব্দুল কুদ্দুস তার মুখ চেপে ধরে ছাদের ওপর নিয়ে যান। ওই গ্রামের আব্দুল গণির স্ত্রী ঘটনাটি দেখতে পেয়ে গ্রামের অন্য লোকজনকে খবর দেন। তারা এসে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করতে গেলে দরজা ভিতর থেকে আটকে থাকায় লোকজন দরজায় লাথি মারে ও চিৎকার করতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে আব্দুল কুদ্দুস শিশুটিকে দোতলার ছাদ থেকে মাটিতে ফেলে দেয়। ওই সময় স্থানীয়রা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটক করা হয়।
ওই বাড়ির মালিক প্রবাসী কাবিলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "আমি প্রবাসে থাকি। নিজ গ্রামে বসবাসের জন্য একটি বাড়ি নির্মাণ করছি, যা আমার স্ত্রী দেখাশোনা করে। বাড়িটি এখনো পূর্ণ নির্মাণ করা হয়নি। আজ আমার স্ত্রীর মাধ্যমে জানতে পেরেছি, আমাদের গ্রামে একজন দিনমজুর কাজ করত। ওই লোকটি বাড়িটি ফাঁকা পেয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। অপরাধী যেই হোক, আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।"
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বীরেন্দ্র সিং জানান, ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।