
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার আটাবাড়ি ও ভাবকী আটাবাড়ি সেতু দুটি প্রায় ১৮ কোটি টাকায় নির্মিত হলেও এখনো সড়ক না থাকায় সেগুলোর ব্যবহার করতে পারছে না স্থানীয়রা। এর ফলে, সেতুগুলোর জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়ছেন।
জামালপুর মেলান্দহের আটাবাড়ি সেতু থেকে ভাবকী সেতুর মাঝে ৩ কিলোমিটার সড়ক নির্মিত হয়নি। ফলে, স্থানীয়রা সেতু ব্যবহার করতে না পেরে ১০ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ পাড়ি দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
এ ছাড়া, চরাঞ্চলবেষ্টিত নলেরচর, চর পলিশা, ভাবকী ও আশপাশের এলাকার কৃষকরা সড়ক অবকাঠামোর অভাবে তাদের উৎপাদিত ফসলের সঠিক দাম পাচ্ছেন না। এই সড়ক যোগাযোগের অভাবের কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য জীবনমানের উন্নয়নেও পিছিয়ে পড়ছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা মন্তব্য করেছেন, “কোটি কোটি টাকা খরচ করে সেতু নির্মাণ করা হলেও, রাস্তা নির্মাণ না করা অর্থের অপচয় ছাড়া কিছু নয়।”
জামালপুর সচেতন নাগরিক কমিটির সহ-সভাপতি মো. আশরাফুজ্জামান স্বাধীন বলেন, "সম্ভাব্যতা যাচাই ও সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত ছিল, যাতে সরকারি সম্পদ অপচয় না হয় এবং জনগণকে দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেওয়া যায়।"
এদিকে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, সেতু নির্মাণের প্রকল্প জনস্বার্থে গ্রহণ করা হয়েছে। সড়ক নির্মাণের প্রকল্প প্রস্তাবনা ইতোমধ্যেই মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে এবং অনুমোদন পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জামালপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রোজদিদ আহম্মেদ বলেন, “এটি সদর উপজেলার সংযোগ সড়ক। ঝিনাই নদীর ওপর নির্মিত সেতুর সড়কটির জন্য এলজিইডি ইতোমধ্যে প্রস্তাব পাঠিয়েছে, এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেলেই সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হবে।”
২০২৪ সালে এলজিইডি ১৪ কোটি ৫০ লাখ টাকায় আটাবাড়ি সেতু এবং ৩ কোটি টাকায় ৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ভাবকী আটাবাড়ি সেতু নির্মাণ করেছে।