
নবীগঞ্জ সংবাদদাতা:
স্বামী সন্তান বাড়িতে না থাকায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিন সন্তানের জননী এক গৃহবধূ। নবীগঞ্জ উপজেলার ১০ নং দেবপাড়া ইউনিয়নের গোপলারবাজার এলাকার ঝিটকা গ্রামে, স্বামী সন্তান বাড়িতে না থাকায়, প্রতিবেশী রিপন ও জুবেল সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে বলে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এই গৃহবধূর স্বামী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ মে শনিবার স্বামী মোঃ নুরুল ইসলাম ধান কাটার মেশিন নিয়ে ইমামগঞ্জ বাজার এলাকায় ধান ভাংঙ্গার কাজে চলে যান দুই সন্তান স্কুলে চলে যাওয়ায়, শিশু সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে একা থাকেন এই গৃহবধূ। খালি বাড়ি থাকায় প্রতিবেশী রিপন মিয়া পিতা মাসুক মিয়া ও জুবেল মিয়া পিতা কাছুম আলী ঘরে প্রবেশ করে, কিছু কখন বসে এই গৃহবধূকে কূপ্রস্তাব দিলে সে প্রত্যাখ্যান করলে তার শিশু সন্তানের গলায় ছুরি ধরে মেরে ফেলার হুমকি দেখিয়ে ভয় দেখায়, বাচ্চাকে বাঁচাতে দস্তাদস্তি করিলে গৃহবধূর দুই হাতের কব্জিতে চুরি দিয়ে কেটে দিয়ে। জোড় করে বিছানায় ফেলে তাকে ধর্ষণ করে ও মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে তার পর জুবেল আবার ধর্ষণ করে মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও করতে থাকে এমন সময় গৃহবধূর ছেলে বাড়িতে এসে দেখতে পেয়ে চিৎকার করিলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে ধর্ষক রিপন ও জুবেল ঘর থেকে বের হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
পরে প্রতিবেশীরা গৃহবধূকে উদ্ধার করে দ্রুত সিলেট এম এজি ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। হাতের কব্জির রগ খুব বেশি কেটে যাওয়ায় গৃহবধূর অবস্থা খুবই আসঙ্কাজনক এবং মানসিক অবস্থায় ভেঙ্গে পড়ায় যে কোন সময় তার মৃত্যুর আশংকা করছেন গৃহবধূর পরিবার।
এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী মোঃ নুরুল ইসলাম বাদি হয়ে গত ০১/০৬/২২তারিখে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ১২১/২০২২ নং মামলা দায়ের করেন। বিঞ্জ আদালত, হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার ও পিবিআইকে গৃহবধূর ডাক্তারী চিকিৎসা সহ আগামী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।