
পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার ভুলবাড়িয়া ইউনিয়নে একটি সংযোগ সেতুর নির্মাণ কাজ তিন থেকে চার বছর ধরে চললেও এখনো শেষ হয়নি। সেতুর হস্তান্তরের সময়সীমা পার হয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুর অর্ধেক কাজও শেষ করতে পারেনি, যার কারণে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী জানিয়েছে, সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ না হলে তারা বড় ধরনের মানববন্ধন করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, ২০২২ সালে এলজিইডির আওতায় ভুলবাড়িয়া বাজারের উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কেনালের উপর ৮১.৬০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সংযোগ সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এই কাজের দায়িত্ব পান কুড়িগ্রামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, মেসার্স বসুন্ধরা ও মেসার্স সুমন টেডার্স। প্রথম দিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করলেও তারা গরিমষী করে কাজ চালিয়ে যায়, যার ফলে সেতুর নির্মাণ কাজ তিন বছর পরেও শেষ হয়নি।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন, একটি বড় সেতুর জন্য যদি মাত্র তিন থেকে চারজন শ্রমিক কাজ করে, তবে কিভাবে এই কাজ শেষ হবে?
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সেতুর মূল উদ্দেশ্য ছিল গ্রামগুলোর মধ্যে সংযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন করা এবং কৃষকদের যাতে তাদের কৃষি ফসল দ্রুত হাট-বাজারে নিয়ে যেতে পারেন, সে জন্য সেতুটি নির্মিত হচ্ছে। তবে তিন বছর পার হলেও সেতুর কাজের কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। এ ছাড়াও সেতুর ওপার থেকে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা ভুলবাড়িয়া স্কুল থেকে আসতে গিয়ে মাঝে মধ্যেই সাকো থেকে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।
সেতু নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই অর্ধনির্মিত সেতুটি সাধারণ জনগণ কবে নাগাদ সুবিধা পাবে এবং সরকারের ক্ষতি কবে উত্তোলন হবে, তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।
ভুলবাড়িয়া বাসী দাবি করেছেন, অতি দ্রুত সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করে হাজার হাজার বিঘার ফসলের জন্য পারাপারের সুযোগ তৈরি করা হোক।