Date: April 30, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / রংপুর / সামান্য বৃষ্টিতেই বিদ্যালয় মাঠে হাঁটু পানি, দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

সামান্য বৃষ্টিতেই বিদ্যালয় মাঠে হাঁটু পানি, দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

April 29, 2025 08:11:31 PM   উপজেলা প্রতিনিধি
সামান্য বৃষ্টিতেই বিদ্যালয় মাঠে হাঁটু পানি, দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি:
সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানি জমে যায় রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নের বল্লববিষু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। মাঠটি নিচু হওয়ায় এবং কোনো রকম পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে বিদ্যালয়ে যেতে ও শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছে না শিক্ষার্থীরা, চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরাও।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের মাঠের অধিকাংশ অংশ জলমগ্ন হয়ে আছে। যেসব জায়গায় পানি জমেনি, সেগুলো কাদাপানিতে পরিপূর্ণ, মাটি স্যাঁতসেঁতে ও পিচ্ছিল। ফলে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যাচ্ছে। এতে ভিজে যাচ্ছে তাদের জামাকাপড়, নষ্ট হচ্ছে বইখাতা। এ অবস্থায় অনেকে বিদ্যালয়ে আসতেও অনীহা প্রকাশ করছে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, মাঠে পানি জমে থাকার কারণে টিফিন টাইমে খেলাধুলা তো দূরের কথা, শ্রেণিকক্ষেও প্রবেশ করতে হচ্ছে সাবধানে। স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান লাম, চতুর্থ শ্রেণির আরশি আক্তার, রুপায়ন বর্মন, সামিয়া আক্তার ও তৃতীয় শ্রেণির রুমি আক্তার জানান, দীর্ঘদিন ধরে মাঠে জলাবদ্ধতা থাকায় তারা ঠিকমতো ক্লাস করতে পারছে না। তাদের দাবি, দ্রুত মাঠ সংস্কার করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

স্থানীয় বাসিন্দারাও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই মাঠটি শুধু বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, গ্রামের ছেলেমেয়েদের খেলাধুলার একমাত্র জায়গা। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়া এবং কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় মাঠে জলাবদ্ধতা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। কিন্তু এই সমস্যা নিরসনে কোনো বাস্তব পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফরিদুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ১১০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। আমি যোগদানের পর থেকেই দেখছি বর্ষাকালে মাঠে পানি জমে থাকে, ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক শিক্ষা বা খেলাধুলায় অংশ নিতে পারে না। বিষয়টি একাধিকবার লিখিতভাবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও মৌখিকভাবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। তিনি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ড্রেন নির্মাণের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবি জানান।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শায়লা জেসমিন সাঈদ বলেন, আমি বিষয়টি ইতোমধ্যে ইমারজেন্সি এডুকেশন ফান্ডে লিখিতভাবে জানিয়েছি। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সঙ্গেও কথা হয়েছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিতে কী কী করা যায়, তা নিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

বিদ্যালয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলেও অব্যবস্থাপনা ও অবহেলায় শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম আরও মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে।