Date: April 30, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / ঢাকা / সালথায় আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে ভাঙচুর ও লুটপাট, আহত অর্ধশত - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

সালথায় আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে ভাঙচুর ও লুটপাট, আহত অর্ধশত

April 10, 2025 06:32:06 PM   উপজেলা প্রতিনিধি
সালথায় আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে ভাঙচুর ও লুটপাট, আহত অর্ধশত

সালথা (ফরিদপুর) সংবাদদাতা:
ফরিদপুরের সালথায় গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। গত বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বালিয়া বাজারে প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় ৮-১০টি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার গট্টি ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কৃষকলীগ নেতা নুরু মাতুব্বর ও যুবলীগ নেতা জাহিদ মাতুব্বরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জেরে বুধবার সন্ধ্যার পর থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। রাত ৮টার দিকে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে বালিয়া বাজারের কয়েকটি দোকানঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এছাড়া ফরিদপুর-সালথা আঞ্চলিক সড়ক প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) আসাদুজ্জামান শাকিলের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সংঘর্ষে গুরুতর আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উভয় পক্ষই নিজেদের বিএনপির অনুসারী দাবি করলেও এলাকায় তারা একসময় আওয়ামী লীগ নেতা ছিলেন বলে জানা গেছে। কয়েক বছর আগেও তারা একসঙ্গে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়।

জাহিদ মাতুব্বর বলেন, “আমি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ২০১৮ সালে শামা ওবায়েদ রিংকুর গাড়িতে হামলা করেছিল আওয়ামী লীগের লোকজন। তারা আবার এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে বিকেলে আমার সমর্থক ব্যবসায়ী মামুন শেখকে মারধর করে। এরপরই সংঘর্ষ শুরু হয়।”

অন্যদিকে, নুরু মাতুব্বর জেলে থাকায় তার ভাই মুনসুর মাতুব্বর এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন, “আমরা বিএনপির রাজনীতি করি। যুবলীগ নেতা জাহিদ মাতুব্বর লাবু চৌধুরীর লোক। তাদের দমন-পীড়নে আমরা অতিষ্ঠ। আজ বিকেলে বালিয়া গ্রামে আমাদের পক্ষের সবুর খাঁকে মারধর করে সংঘর্ষের সূচনা হয়।”

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান জানান, “আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। রাতের অন্ধকারে পরিস্থিতি সামাল দিতে বেগ পেতে হয়। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”