
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বড়কান্দী ইউনিয়নের উমরদ্দীন মাদবর কান্দী গ্রামে আদালতের আদেশ অমান্য করে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে সালিশে মাতব্বররা মামলার বাদী মো. ফজলুল হক মোল্যা (৪৬) ও তার পরিবারকে একঘরে করে মারধরের হুকুম দিয়েছেন বলে অভিযোগও উঠেছে।
জানা যায়, অহেদালী মোল্যার ছেলে ফজলুল হক মোল্যা পিতার মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন মোতালেব মোল্যা ও ইউনুস মোল্যাগণ। বিষয়টি নিয়ে গ্রামে দীর্ঘ ছয় মাস ধরে সালিশ-বিচার চললেও কোনও সমাধান হয়নি। ফলে ফজলুল হক মোল্যা থানায় একাধিকবার অভিযোগ দিলেও কাজ হয়নি। পরবর্তীতে গত ১৬ এপ্রিল শরীয়তপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারায় একটি মিস পিটিশন দায়ের করেন তিনি। আদালতের আদেশ অনুযায়ী আগামী ২৭ দিন ওই জমিতে কোনও প্রকার চাষাবাদ ও দখল কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। আদেশটি জাজিরা থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক মোশাররফ বাদী ও বিবাদী পক্ষের হাতে তুলে দেন।
তবে অভিযোগ রয়েছে, আদালতের এ আদেশকে তোয়াক্কা না করে বিবাদীপক্ষের ১০-১৫ জন ও স্থানীয় মাতব্বরদের মদদে মোতালেব ও আতাহার মোল্যা জোরপূর্বক জমি দখল করে, মাটি কেটে বিক্রি করেন এবং বাদীপক্ষকে মারধরের অনুমতি দেন।
এ বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল আকন্দ বলেন, “আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা উভয় পক্ষকে নোটিশ দিয়েছি এবং জমিতে কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলেছি। কেউ যদি আদালতের আদেশ অমান্য করে, তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”