Date: May 01, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / ঢাকা / ইজতেমা মাঠে অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করলে আমাদের হাতে তুলে দিন : জিএমপি কমিশনার - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প...

ইজতেমা মাঠে অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করলে আমাদের হাতে তুলে দিন : জিএমপি কমিশনার

February 13, 2025 08:21:54 PM   জেলা প্রতিনিধি
ইজতেমা মাঠে অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করলে আমাদের হাতে তুলে দিন : জিএমপি কমিশনার

টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ডা. নাজমুল করিম খান বলেছেন, “ইজতেমার মুরুব্বিদের সঙ্গে মারামারি এবং ইজতেমা -এই দুটিকে আমি ভিন্নভাবে দেখি। একটি হল ক্রাইম, আরেকটি হল ধর্মীয় কাজ। আমি বিশ্বাস করি, যারা এখানে এসেছে তারা কেউই মারামারির সঙ্গে সম্পৃক্ত নেই। যদি কেউ থাকে, আইন তাদের ক্ষমা করবে না। যদি তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাই, যদি তারা মারামারি করে, আমরা সেটিকে ক্রাইম হিসেবে দেখতে চাই এবং আইনের আওতায় আনতে চাই।”

তিনি আরও বলেন, “ইতোমধ্যে মুরুব্বিদের অনেকের নামে মামলা আছে, তারা জামিনে আছে। জামিনে থাকা অবস্থায় কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারবে না।”

বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ইজতেমা মাঠের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

কমিশনার বলেন, “আপনারা জানেন, সারা দেশে ‘ডেভিল হান্ট অপারেশন’ চলছে। এর মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। কিছু সন্ত্রাসী গ্রেফতার এড়াতে তাবলিগ জামাতকে ব্যবহার করতে পারে। আমি তাবলিগ জামাতের মুরুব্বিদের অনুরোধ করব- আপনারা আপনাদের সাথীদের ভালোভাবে চেনেন। কোনো সন্ত্রাসী যদি আপনাদের আড়ালে থেকে ইজতেমার পরিবেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে, তাহলে তাদের আমাদের হাতে তুলে দিন।”

তিনি আরও বলেন, "এর আগে আমরা শূরায়ে নেজামের প্রথম পর্বের দুই ধাপের ইজতেমা সম্পন্ন করেছি। এবারও কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দ্বিতীয় পর্ব পরিচালিত হবে। আমরা ইজতেমা মাঠকে পাঁচটি সেক্টরে ভাগ করেছি এবং ১৬টি ওয়াচ টাওয়ার বসিয়েছি। বাইনোকুলারের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মুসল্লিদের চলাফেরা পর্যবেক্ষণ করা হবে।"

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। দিল্লির মাওলানা সা’দ আহমদ কান্ধলভীর অনুসারীরা এ পর্বে অংশ নিচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ইজতেমা মাঠে বাঁশের খুঁটির সঙ্গে টানানো হয়েছে চটের শামিয়ানা। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মুসল্লিরা নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান নিচ্ছেন। বুধবার রাত থেকেই মুসল্লিরা আসতে শুরু করলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ইজতেমা মাঠে মুসল্লিদের ভিড় আরও বেড়েছে।

সাদ অনুসারীদের গণমাধ্যম সমন্বয়ক মো. সায়েম বলেন, "আমাদের ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে শুক্রবার ফজরের নামাজের পর থেকে। ইতোমধ্যে অনেক সাথী ভাই মাঠে উপস্থিত হয়েছেন, সারাদিন মুসল্লিরা আসতে থাকবেন। আমরা আশা করছি, এবারও সুন্দরভাবে ইজতেমা সম্পন্ন হবে।"

তিনি আরও বলেন, "বিশ্ব ইজতেমার ইতিহাসে এবারই প্রথম শবেবরাতের রাত আমরা ইজতেমার ময়দানে পাচ্ছি। লাখো মানুষ একসঙ্গে শবেবরাতের নামাজ আদায় করবেন, নামাজ শেষে রোজা রাখবেন এবং বড় জামাতে জুমার নামাজ আদায় করবেন। এটি আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া।" আগামী রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।