
রাজধানীর কদমতলী এলাকা হতে অবৈধভাবে আটক রেখে মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের মূলহোতাসহ ০২ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০। বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৮ মে কদমতলী থানাধীন মুরাদপুর এলাকায় একটি নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ের পাশে টিনশেট ঘরে ভিকটিম বিপ্লব (২৬) এর সাথে তার ঠিকাদার ব্যবসায়ী বন্ধু হাসানুল ইসলাম স্বপন (২৭) দেখা করতে আসে। স্বপন ও বিপ্লব এর মধ্যে আলোচনার একপর্যায়ে মোঃ রজব আলী (২৫), নাজিম উদ্দিন (২৩), ইব্রাহিম (২০), আব্দুল জলিল (৪৫) ও রিপন (২৫) মিলে স্বপন ও বিপ্লবকে আটক করে ধারালো চাকুর ভয়ভীতি দেখিয়ে মারধর করে এবং স্বপনের সাথে থাকা নগদ ১২ হাজার পাঁচশ’ টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আরও পাঁচ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করলে বিপ্লব আরও নয়শ’ টাকা সংগ্রহ করে দেয়। বাকী টাকার জন্য অবৈধ আটকারীরা বিপ্লবকে আটকে রেখে স্বপনকে ছেড়ে দেয়। অতঃপর গত ২৯ মে স্বপনকে ফোন করে বাকি টাকা দিয়ে তার বন্ধু বিপ্লবকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে এবং টাকা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে।
এদিকে এ ঘটনার পর স্বপন নিরুপায় হয়ে তার বন্ধু ভিকটিম বিপ্লবকে উদ্ধার করার জন্য অধিনায়ক, র্যাব-১০ বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগপ্রাপ্তির পর র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল ভিকটিম’কে দ্রুত উদ্ধার ও অবৈধ আটককারীদের গ্রেফতারের লক্ষে ছায়া তদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাতিকতায় মঙ্গলবার র্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার কদমতলী থানাধীন মুরাদপুর এলাকার উক্ত টিনশেড ঘরে অভিযান পরিচালনা করে আটককৃত ভিকটিম বিপ্লবকে উদ্ধার পূর্বক অবৈধ আটককারী চক্রের মুল হোতাসহ ০২ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃতদের নাম মোঃ রজব আলী (২৫) ও নাজিম উদ্দিন (২৩)। এসময় তাদের নিকট থেকে ০৩টি মোবাইল ফোন ও নগদ তিনশত পঞ্চাশ টাকা জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা, এ ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষে র্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল তাদের গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও গ্রেফতার অভিযান অব্যবহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।