
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে আরো ৯৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে অর্ধ শতাধিক। এতে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ৬৫ লাখ ৪৬ হাজার ৮৩৬ জনে পৌঁছেছে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৫০ হাজার ৪৩৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৩৫ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৬২ কোটি ২২ লাখ ৪২ হাজার ৪১৯ জনে দাঁড়িয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে শুক্রবার সকালের দিকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটেছে ফ্রান্সে। এ সময়ে দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫১ হাজার ৩৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৩ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৫৩ লাখ ৪২ হাজার ৯৫০ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮ জন মারা গেছেন। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ হাজার ৭১২ জন এবং মারা গেছেন ২০৪ জন। করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৮১ লাখ ৬৫ হাজার ১০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৮৪ হাজার ২৬০ জন মারা গেছেন।
জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ হাজার ১৭৩ জন এবং মারা গেছেন ১২৭ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ১২ লাখ ২৯ হাজার ২১৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪৪ হাজার ৬৭৮ জন মারা গেছেন। একই সময়ে ফিলিপাইনে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫৩৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন।
রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৭৩৯ জন এবং মারা গেছেন ১০৯ জন। আর লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৯ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৯ হাজার ৮৯৪ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।