
নিজস্ব সংবাদদাতা:
কেরানীগঞ্জে বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর গরু ব্যবসায়ীকে মর্মান্তিকভাবে হত্যা মামলার এজাহারনামীয় অন্যতম প্রধান ৩ জন পলাতক আসামীকে পটুয়াখালী ও মানিকগঞ্জ হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০।
জানা যায়, গত ২৩ মে সকাল ৯টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন আব্দুল্লাহপুর লেচু মিয়ার মার্কেটের কাঁচা বাজারে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে উক্ত বাজারের কসাই রওশন আলী ভূট্টো (৪৯) তার লোকজন নিয়ে আহসানুল্লাহ’কে বেদম মারধর করলে ঘটনাস্থলেই আহসানুল্লাহ অচেতন হয়ে যায়। তৎক্ষণাৎ, আশপাশে থাকা লোকজন তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। উক্ত ঘটনার পর নিহত গরু ব্যবসায়ী আহসান উল্লাহর ছোট ভাই মোক্তার হোসেন বাদী হয়ে ভূট্টোসহ ১০ জন ও সঙ্গীয় অজ্ঞাত নামা আরও ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে ঢাকা জেলার দক্ষিন কেরাণীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজুর বিষয়টি জানতে পেরে বিবাদীরা আত্মগোপনে চলে যায়। হত্যাকান্ডের ঘটনাটি জানতে পেরে র্যাব পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ছায়া তদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
র্যাব জানায়, শুক্রবার র্যাব-১০ এর একটি দল র্যাব-০৮ এর সহযোগীতায় পটুয়াখালী জেলার সদর থানা এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর ঢাকার কেরানীগঞ্জে গরু ব্যবসায়ী আহসান উল্লাহ (৫২)’কে মর্মান্তিকভাবে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামী কেরানীগঞ্জের মৃত দৌলত মাঝির ছেলে আহম্মদ আলী কালু (৩৮) ও রবিউল (৩৬) কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের তথ্যমতে একই দিন র্যাব-১০ এর উক্ত দল র্যাব-০৪ এর সহযোগীতায় মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানাধীন বালিয়াটি এলাকায় অপর একটি অভিযান পরিচালনা করে উক্ত মামলার এজাহারভুক্ত অপর পলাতক আসামী দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে শফিক মিয়া (৩৫) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এসময় তাদের নিকট থেকে ০১টি মোবাইল ফোন ও নগদ তেতাল্লিশ হাজার পাঁচশত নব্বই টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা উক্ত ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তারা উক্ত ঘটনার পর নিজেদের আইনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করেছিল বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।