
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি:
যশোরের কেশবপুর পৌর এলাকার বাজিতপুর-সরফাবাদ সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় কার্পেটিং উঠে গিয়ে চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটির অধিকাংশ স্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে এটি এখন মানুষের জন্য একপ্রকার মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এই অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে পথচারীরা চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন। এলাকাবাসী দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা গেছে, কেশবপুর পৌরসভার সরফাবাদ, বাজিতপুর, সাবদিয়া ও আলতাপোল গ্রাম, উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়নের মঙ্গলকোট, পাসপোতা, বসুন্তিয়া, পাচারই, রামকৃষ্ণপুর গ্রাম, মজিদপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর, মজিদপুর, কুসুলদিয়া, আটন্ডা, শ্রীফলা গ্রাম, বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের হিজলডাঙ্গা, ভবানীপুর, বাউশলা ও বিদ্যানন্দকাটি গ্রামের অধিকাংশ মানুষ জরুরি প্রয়োজন মেটাতে বাজিতপুর-সরফাবাদ সড়কটি যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। অথচ দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সড়কটির করুণ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
গত বুধবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কেশবপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের সরফাবাদ ও বাজিতপুর গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এই জরাজীর্ণ ও অবহেলিত সড়কটি সংস্কারের অভাবে অধিকাংশ স্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে শত শত ছোট-বড় গর্তের। এতে করে সড়কটি কার্যত চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জনদুর্ভোগের কারণে মানুষের কাছে সড়কটি এখন এক অভিশাপে পরিণত হয়েছে।
সড়কটি ব্যবহারকারী ভুক্তভোগীরা জানান, প্রতিদিনই তারা এই দুরবস্থা মোকাবিলা করে যাতায়াত করছেন। অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। দ্রুত এই সড়কটি সংস্কার না হলে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে কেশবপুর পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ বিশ্বাস জানান, সড়কটি আগে ইটের সলিং ছিল। তিনি মেয়র থাকাকালে ২০১১-১২ অর্থবছরে এটি পিচঢালা করা হয়। এরপর থেকে আর কোনো সংস্কার হয়নি। এ কারণে কার্পেটিং উঠে গিয়ে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।