
আশিকুর রহমান আশিক, গাজীপুর:
গাজীপুরে ছয় বছরের শিশু বায়জিদ হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটন করেছে মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানা পুলিশ। হত্যাকারীকেও গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
আজ রবিবার (১৯ নভেম্বর) গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গাজীপুর মেট্রোপলিটের উপ-পুলিশ কমিশনার, অপরাধ(উত্তর) আবু তোরাব মোঃ শামছুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী বিসিক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি মো. আরিফুল ইসলাম (২৯) কে গ্রেফতার করা হয়। আরিফুল ইসলাম পাবনা জেলার সুজানগর থানার ভাতশালা গ্রামের মো. তফিজ উদ্দিনের ছেলে। বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটের উপ-পুলিশ কমিশনার, অপরাধ(উত্তর) আবু তোরাব মোঃ শামছুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো জানান, হত্যার শিকার শিশু বায়জীদ হোসেনের পিতা খালেদ মাহমুদ রাসেল কোনাবাড়ী এলাকায় প্রায় পৌনে দুই বছর যাবৎ ভাড়া বাসায় স্বপরিবারে বসবাস করে আসছে। তারা কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি থানার বানিয়া পাড়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা।
তিনি জানান, গত ১১ নভেম্বর বায়জীদ নিখোঁজ হয়। খালেদ মাহমুদ তার সন্তান বায়েজিদ নিখোঁজ হওয়ায় কোনাবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। নিখোঁজের দু'দিন পর বাসার সিঁড়িতে সাদা পলিথিন দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় বায়জিদের অর্ধগলিত লাশ দেখতে পায় তার পিতা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ সুরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
উপ-পুলিশ কমিশনার আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান আরো জানান, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকারী ও হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকারী মো. আরিফুল ইসলাম জানায়, তারা একই বাসায় ভাড়া থাকতেন। আরিফের সাথে বাসার সিঁড়িতে শিশু বায়জিদের ধাক্কা লাগলে সে বায়জিদকে থাপ্পড় মারে। থাপ্পড়ের ঘটনায় বায়জিদ চিৎকার করলে আরিফ তাকে তার রুমে নিয়ে নাকে মুখে ও গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার দু’দিন পর সে বায়জিদের অর্ধগলিত মরদেহ পলিথিনে পেচিয়ে বাসার সিঁড়িতে রেখে যায়। তিনি জানান, বায়জিদ হত্যার মূল আসামি আরিফুলের নামে এর আগেও ঢাকার আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে।