
আরিফুল ইসলাম:
বিএনপি জামাত জোট সরকারের পৃষ্টপোষকতায় মৌলবাদী ও জঙ্গিগোষ্ঠী কতৃক ২০০৪ সালের ২১আগষ্ট বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে হত্যার উদ্দেশ্যে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও আলোচনা সভা এবং শহিদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল করেছেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বঙ্গবন্ধু সেনা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মেজর ( অবঃ) আতমা হালিম (দুলু)।
আওয়ামীলীগ ও এর অংঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে সোমবার (২১আগষ্ট) বিকালে সালথা সদরের বাইপাস সড়কে অবস্থিত মেজর (অবঃ) আতমা হালিমের আওয়ামীলীগের উন্নয়নের প্রচার কেন্দ্র ও বঙ্গবন্ধু কর্ণারে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা শেষে গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত।
এসময় মেজর অবঃ আতমা হালিম বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে খালেদা জিয়া - তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ মদদে ১৯৭৫ এর মত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার মাধ্যমে আওমীলীগ কে নেতৃত্ব শুন্য করার উদ্দেশ্যেই এই নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের অনেক নেতৃবৃন্দ নিহত হন, অনেকে আজীবন পঙ্গুত্ববরণ করেন, ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি- জামায়াত দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্ট করেছে।
তিনি আরও বলেন, সংখ্যালঘুদের কে নানাভাবে নির্যাতন, জুলুম করেছে ফলে অনেকেই ভয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে অশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। আজ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার জন্য ষড়যন্ত্রকারীরা তৎপর রয়েছে। গ্রেনেড হামলার নেপথ্যের কুশীলবদের আইনের আওতায় আনা না গেলে তাদের মূল উৎপাটন করা যাবে না। গ্রেনেড হামলার মূল পরিকল্পনাকারী তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকর করতে হবে।
এসময় তিনি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে এবং দেশে পুনরায় জঙ্গিবাদের উত্থান না ঘটে সেই লক্ষ্যে আগামী দিনে বিএনপি- জামায়াতের সন্ত্রাস নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে অংশগ্রহণ করার আহবান জানান।
সালথা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান মোল্যার সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন মিয়া, রামকান্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইশারত হোসেন, সালথা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আলী, ইউপি সদস্য কবির খান, আওয়ামীলীগ নেতা কাজী জাকির হোসেন, কাজী সানোয়ার হোসন, সাইফুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা শাফায়েত তালুকদার লুৎফর রহমান, যুবলীগ নেতা রাসেল খান, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা হুসাইন আলী প্রমূখ। এছাড়া আওয়ামীলীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।