
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক সকল সংযুক্ত ও স্বতন্ত্র রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত অনুদানভুক্ত ও অনুদানবিহীন ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ ১২ দফা দাবিতে কাপাসিয়ায় মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ সংযুক্ত ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক ফোরাম। কাপাসিয়া বাসস্ট্যান্ড তাজউদ্দীন আহমদ চত্বরের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সংযুক্ত ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডালিম শেখ বলেন, এক ভার্চুয়াল সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, সংযুক্ত ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবিতে দেশের প্রতিটি উপজেলা ও জেলায় মানববন্ধনের আয়োজন করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ কাপাসিয়া উপজেলায় এই মানববন্ধন করা হয়।
কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহিন শিকদার বলেন, আমরা ইবতেদায়ী শিক্ষক হয়েও তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর সমান বেতন-ভাতা ও সমমানের গ্রেড পাই, যা একজন সংযুক্ত ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষক হিসেবে লজ্জাকর। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের বাজারে এই বেতন দিয়ে পরিবারের খরচ চালানো খুবই কষ্টকর। আপনারা জানেন, আমরা প্রাইমারি শিক্ষার সমমান হয়েও দীর্ঘদিন বৈষম্যের শিকার। ১৫১৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার কিছু শিক্ষক সামান্য অনুদান পেলেও, বেশিরভাগ শিক্ষক কিছুই পান না।
তিনি আরও বলেন, দেশে প্রায় ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও মাত্র ৩টি সরকারি ইবতেদায়ী মাদ্রাসা রয়েছে, যা ৯২ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত এই দেশের জন্য মেনে নেওয়া যায় না। তাই আগামী ৩১ মে ২০২৫ তারিখের মধ্যে সকল সংযুক্ত ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের ঘোষণা, অধ্যাদেশ বা প্রজ্ঞাপন দিতে হবে, অন্যথায় আমরা ক্লাস বর্জনসহ কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।
কাপাসিয়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা বলেন, একই কারিকুলাম ও সিলেবাস থাকা সত্ত্বেও আমাদের মাদ্রাসা সরকারি নয়, যা বৈষম্যমূলক। তাই আমরা এই বৈষম্য থেকে মুক্তি চাই।
কাপাসিয়া উপজেলার সভাপতি মো. জিয়াউল হক কারী বলেন, ২০১৩ সালে ২৬ হাজার প্রাইমারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের আওতায় আনা হয়েছে। ঠিক একইভাবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে দেশের প্রায় ১৬ হাজার সংযুক্ত ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাকে জাতীয়করণের আওতায় আনা উচিত।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর জেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা মো. শফিউল্লাহ, সহ-সভাপতি মো. ইব্রাহীম খলিল, শ্রীপুর উপজেলার সভাপতি মাওলানা মো. হাবিবুর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।