Date: May 09, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / শিক্ষাঙ্গন / জাবি ছাত্রদল কর্মীর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গর্ভপাত করানোর অভিযোগ - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্র...

জাবি ছাত্রদল কর্মীর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গর্ভপাত করানোর অভিযোগ

May 08, 2025 09:02:57 PM   অনলাইন ডেস্ক
জাবি ছাত্রদল কর্মীর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গর্ভপাত করানোর অভিযোগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদলের এক নেতার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জোরপূর্বক গর্ভপাত করানোর অভিযোগ তুলেছেন এক নারী শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের সৈয়দ শাহ শাফায়াত ঋদ্ধ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের এক শিক্ষকের পুত্র এবং ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

বুধবার (৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলে লিখিত অভিযোগ জমা দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

অভিযোগে তিনি বলেন, একটি ব্যান্ড দলের মাধ্যমে ঋদ্ধর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। কিছুদিনের মধ্যেই ঋদ্ধ প্রেমের প্রস্তাব দেন এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সম্পর্কের একপর্যায়ে শারীরিক সম্পর্কও হয়। পরে ভুক্তভোগী জানতে পারেন, তিনি গর্ভবতী হয়েছেন। বিষয়টি জানালে ঋদ্ধ গর্ভপাতের জন্য চাপ দেন। প্রথমে রাজি না হলেও পরবর্তীতে বিয়ের আশ্বাসে গর্ভপাত করান তিনি। এর কিছুদিন পর ঋদ্ধ তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, ঋদ্ধ নিজের রাজনৈতিক পরিচয় ও পারিবারিক প্রভাব দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা ধরনের প্রতারণা করে আসছেন। শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবর ও সাবেক সহ-সভাপতি নবীনুর রহমান নবীনের মাধ্যমে সদস্য ফর্ম পূরণ করিয়ে নিজেকে সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচয় দিতেন। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ঋদ্ধর কর্মকাণ্ডের বিষয়ে বাবর ও নবীনকে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি।

অভিযোগের বিষয়ে সৈয়দ শাহ শাফায়াত ঋদ্ধ বলেন, “এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। মেয়েটি আমাকে ব্ল্যাকমেইল করছে।” গর্ভপাতের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “আমি কিছু জানতাম না। সে রক্তশূন্যতার কথা বলে আমাকে এনাম মেডিকেলে নিয়ে গিয়েছিল।”

এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গর্ভপাত সংক্রান্ত একটি নথিপত্র প্রতিবেদকের হাতে এসেছে, যেখানে ২০২০ সালের ২০ এপ্রিল তারিখে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর গর্ভপাতের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে এবং সেখানে ঋদ্ধ উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।

শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবর বলেন, “ঋদ্ধ সম্প্রতি কিছু প্রোগ্রামে উপস্থিত হলেও সে সংগঠনের সদস্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিক, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, “উপাচার্য স্যারের কাছে এক নারী শিক্ষার্থী অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন বলে শুনেছি। অফিসে স্যার না থাকায় সেল দপ্তরে জমা দিতে পারেন। আমি বিস্তারিত জানি না।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।