
কুবি প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী এম. আনিছুল ইসলামের বিরুদ্ধে উঠা উত্তরপত্রসহ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ তদন্তের জন্য উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ২৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩তম সিন্ডিকেট সভায় এ কমিটি গঠন করা হয় বলে আজ (৭ মে) নিশ্চিত করেছেন রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
তিন সদস্যের এই কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান। সদস্য হিসেবে রয়েছেন ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. তোফায়েল আহমেদ এবং সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান।
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, "গত সিন্ডিকেট সভায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ডকুমেন্টস নষ্ট হওয়ার আগে দ্রুত সময়ের মধ্যে কমিটির সদস্যদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আহ্বান করা হয়েছে।"
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, "এখনো চিঠিটি পাইনি। চিঠি পেলেই আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি মিটিং করে কাজ শুরু করব।"
উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ রাতে একটি বেনামি মেইলের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অভিযোগ আসে। অভিযোগে বলা হয়, বিভাগের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে শিক্ষক কাজী এম. আনিছুল ইসলামের ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে। তিনি তাকে একাধিকবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে সহযোগিতা করেছেন। মেইলে সেই শিক্ষার্থীর করা অভিযোগের সপক্ষে পর্যাপ্ত নথিপত্রও সংযুক্ত করা হয়। এ ঘটনার পর ১২ মার্চ বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।