Date: April 30, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / ময়মনসিংহ / জামালপুরে নদীগর্ভে অর্ধশত বসতবাড়ি, বিলীনের পথে চার গ্রামের একমাত্র বিদ্যালয় - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প...

জামালপুরে নদীগর্ভে অর্ধশত বসতবাড়ি, বিলীনের পথে চার গ্রামের একমাত্র বিদ্যালয়

April 23, 2025 08:21:10 PM   অনলাইন ডেস্ক
জামালপুরে নদীগর্ভে অর্ধশত বসতবাড়ি, বিলীনের পথে চার গ্রামের একমাত্র বিদ্যালয়

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে অসময়ে যমুনা নদীর তীব্র ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। উপজেলার বড়খাল এলাকা থেকে খোলাবাড়ী পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে এই তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। তাৎক্ষণিক জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হলেও ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না। তাই নদীভাঙন রোধে স্থায়ী প্রকল্পের জন্য কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়ছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের শুরুর দিকে অসময়ে হঠাৎ দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বড়খাল এলাকা থেকে খোলাবাড়ী পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার এলাকায় যমুনা নদীর বাম তীরে তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙনের ফলে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে অর্ধশত বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। ভাঙনের কবলে পড়তে শুরু করেছে চর ডাকাতিয়া গ্রামের একমাত্র সরকারি প্রাথামিক বিদ্যালয়টি। হুমকির মুখে রয়েছে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতু, মাদরাসা, মসজিদ, শত শত বাড়িঘর এবং ফসলি জমি। ইতোমধ্যে ওই এলাকার ওবায়দুল হক (৫০), হামিদুল ইসলাম (৪৫), মোখলেছ (৪০), মোশারফ (৩৫), আলমাস (৬২), আমজাদসহ (৬৫) আরও অনেক মানুষ বাড়িঘর ভেঙে অন্যের জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। গত প্রায় ২০ বছর থেকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার খোলাবাড়ী, হাজারী, মাগুরিহাট, খানপাড়া ও মাঝিপাড়াসহ প্রায় অর্ধশত গ্রাম নদীগর্ভে চলে গেছে।

চর ডাকাতিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র জাহিদুল ইসলাম  বলেন, চর ডাকাতিয়াপাড়া, মাগুরিহাট, ফারাজিপাড়া ও কিসের মোড় গ্রামের একমাত্র সরকারি বিদ্যালয়টি এটি। কয়েক দিন আগে নদী কিছুটা দূরে ছিল, এখন একেবারে বিদ্যালয়ের কাছে চলে এসেছে। যেকোনো সময় নদীর মধ্যে চলে যাবে আমাদের এই বিদ্যালয়।

ওই এলাকার শাহেব আলী মন্ডল বলেন, হঠাৎ করেই এই অসময়ে নদীভাঙন শুরু হয়েছে। আমাদের বাড়ি-ঘর, ফসলি জমি সব নদীর মধ্যে চলে গেল। সরকার কিছু ব্যাগ দিলো, কিন্ত কোনো কিছুই হলো না। এই ভাঙন যদি না ঠেকানো যায় তাহলে হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি নদীর মধ্যে চলে যাবে। যেভাবেই হোক ভাঙন ঠেকানো দরকার।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা সুলতানা জানান, ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এর আগে জিও ব্যাগ ফেলে নদীভাঙন রোধ করা যায়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা হয়েছে। ভবনটি নিলামে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, অতি দ্রুতই ভবনটি নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে।

এ বিষয়ে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান বলেন, ভাঙনকবলিত ৬৭ মিটার এলাকায় ১০,৮০০টি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। স্কুলটিকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলানো হয়েছিল, কিন্তু তীব্র ভাঙনে সব ভেসে গেছে। তীব্র ভাঙনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি যমুনা নদীর ওই এলাকায় তীব্র ভাঙন ঠেকাতে স্থায়ী বাঁধ নির্মানের জন্য কাজ করা হচ্ছে।